তিমির বনিক, মৌলভীবাজার থেকে: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা এলাকায় ৭১’এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের টেবিল ঘুরে ঘুরে দীর্ঘ ২২ বছরেও (১১৮৪/৯৯-০১ নং-১৫৫/৯৯-০০, কবালা রেজিস্ট্রি নং- ২৬৩০, ২৯/০৫/২০২১ইং) ভূমিহীন হিসাবে বন্দোবস্ত পাওয়া ভূমিতে ভোগদখল করতে পারছেন না।
নিজের থাকার জায়গা না থাকায় পাঁচ ছেলে ও তার স্ত্রী নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন আব্দুল মালেক।।
সংশ্লিষ্ট জায়গায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে সুবিচার পাননি এই মুক্তিযোদ্ধা। বন্দোবস্ত পাওয়া ভূমি নিজের ভোগদখলে নিতে যে সম্বল ছিল তা ব্যায় করে এখন মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি।
তিনি আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নতি হয়েছে। দেশের চেহারা বদলে গেছে, শুধু আমার কোন পরিবর্তন হয়নি। আমি মরার আগে কি সুবিচার পাবো ? কেউই বন্দোবস্ত পাওয়া ভূমির বিষয় মীমাংসা করে দিচ্ছেন না। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সনদ নং- ৫১৪৩১, মুক্তিবার্তা নং- ০৫০৪০৩০১৫৭, এবং গেজেট নং- ৯৮৭।
তিনি জানান, নিম্ন তফসিল বর্ণিত ভূমি- জেলা মৌলভীবাজার, উপজেলা: কমলগঞ্জ, মৌজা: দেওরা ছড়া, টি.ই জে.এল নং-২, এস এ খতিয়ান নং-১ আর এস চুড়ান্ত খতিয়ান নং-২৩, এস এ দাগ নং- ২০২, আর এস দাগ নং- ৫০২, ইহাতে সাইল রকম ০.৬৪ একর ভূমি, ৯৯ বৎসর মেয়াদী স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হই। কিন্তু একই এলাকার আতাউর রহমান চৌধুরী, শামীম মিয়া, আলিক মিয়া উক্ত ভূমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন।
জানা গেছে, পরে আব্দুল মালেক মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ সহকারী আদালত (মামলা নং- স্বত্ব-৮০/১০ইং) মামলা দায়ের করেন। আদালত যথারীতি তার অনুকুলে রায় ডিগ্রি প্রদান করেন। উক্ত রায় ডিগ্রি অনুবলে ২০১৬ সালের ২৬ মে সরেজমিন প্রতিপক্ষকে উচ্ছেদক্রমে ঝান্ডা গেড়ে রাখা হয়।
কিন্তু আব্দুল মালেকের প্রতিপক্ষ আদালতের প্রদত্ত খাস দখলের ঝান্ডা উঠিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। তবুও তার প্রতিপক্ষরা ওই জমি ভোগ করে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আব্দুল মালেকের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন মৃত্যুর আগে এর সমাধান কি পাবো?