মাত্র ১০ দিন আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ক্যানসার আক্রান্ত প্রেমিকা ফাহমিদা কামালকে বিয়ে করে ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন প্রেমিক মাহমুদুল হাসান। নগরের মেডিকেল সেন্টারে মৃত্যুপথ যাত্রী এই মেয়েকে বেনারসি পরিয়ে, বউ সাজিয়ে ১ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন মাহমুদুল হাসান। বিয়ের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। প্রশংসায় ভাসতে থাকেন মাহমুদুল হাসান। অনেকেই তাদের এ সম্পর্ককে লাইলী- মজনু বা শিরিন-ফরহাদের প্রেমের সাথে তুলনা করে স্ট্যাটাস দেন।যারাই এই খবরটি পড়েছেন, সকলেই খুশী হয়েছিলেন। তবে এ খুশী বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ের মাত্র ১০ দিনের মাথায় মৃত্যুবরণ করলেন সেই ফাহমিদা কামাল।
আজ সোমবার সকালে বাকলিয়ায় নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুপথ যাত্রী ফাহমিদাকে বিয়ে প্রসঙ্গে মাহমুদুল হাসান জানিয়েছিলেন, ‘আমি ফাহমিদাকে অনেক ভালোবাসি। দীর্ঘদিন ধরে ফাহমিদা ক্যানসার আক্রান্ত। সবকিছু জেনে বুঝে তাকে বিয়ে করেছি। এমনকি স্ত্রীর যাবতীয় সব চিকিৎসার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
চকরিয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান নর্থ সাউথ থেকে এমবিএ আর চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ বাকলিয়াতে জন্ম নেয়া ফাহমিদা কামাল আইইউবি থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেন। ফাহমিদা কামাল ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন ও শিউলি আক্তারের মেজ সন্তান। তারা দুই বোন, এক ভাই। বড় বোন থাকেন চীনে। ছোট ভাইটি বিবিএ পড়েন। ফাহমিদা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন সাকীর নাতনি।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ‘দক্ষিণ বাকলিয়ার আব্দুস ছিলাম মাস্টারের বাড়িতে আজ সকালে ফাহমিদা কামাল মৃত্যুবরণ করেন। ফাহমিদা কামাল দীর্ঘদিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ভারতেও চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা আশা ছেড়ে দেওয়ায় ফাহমিদাকে দেশে নিয়ে আসা হয়।’