
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হতে যাচ্ছে। তুরাগের পাড়ে বসছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আসর। গত কয়েকদিন থেকে ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করে কাজ প্রায় শেষ করেছে সেচ্ছাসেবীরা।
এবারের ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব শুরু ১৩ জানুয়ারি। শেষ হবে ১৫ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ২০ জানুয়ারি ও শেষ হবে ২২ জানুয়ারি।
প্রতি বছরের মতো র্যাব ও পুলিশসহ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্কুল-কলেজ- মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে প্রস্তুতিমূলক কাজ করছেন।
তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতি বছর এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে। ১৬০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ইজতেমা মাঠে বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলীগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন। তারা এখানে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য জামাত বদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান।
তবে, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর নিরাপত্তা থাকবে কয়েকগুণে। প্রতিটি খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে পুলিশের সদস্যরা।
১৯৬৭ সাল থেকে নিয়মিত বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ১৯৯৬ সালে একই বছর দুইবার বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের চাপে জায়গা কম হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু মাওলানা সা‘দ ও মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীদের দু‘পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে দুই বছর বন্ধের পর ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।