
বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও স্বয়ংক্রিয় মালবাহী জাহাজ উদ্ভোদন করলো নরওয়ে। চলতে পারবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা চালকবিহীন।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ‘ইয়ারা বার্কল্যান্ড’ নামের জাহাজটি গণমাধ্যমকে দেখানো হয়। ওই জাহাজের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি চালকবিহীন বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম। বলা হচ্ছে, কার্বন নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে এটি ছোট পদক্ষেপ হলেও তা সামুদ্রিক শিল্পের ক্ষেত্রে জলবায়ু বিপর্যয় রোধে ভূমিকা রাখবে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরওয়ের দক্ষিণ-পূর্ব শহর পোরসগ্রুনের একটি কারখানা থেকে ৮ মাইল দূরে ব্রেভিক বন্দরে ১২০ কনটেইনার সার পাঠানোর মাধ্যমে জাহাজটির কার্যক্রম শুরু হয়। জাহাজটি বছরে প্রায় ৪০ হাজার ডিজেলচালিত ট্রাকের প্রয়োজনীয়তা দূর হবে। এতে পরিবেশদূষণ কমবে।
নরওয়ের সার প্রস্তুতকারক ইয়ারার প্রধান নির্বাহী সভেন টোরে হলসেথার জানান, স্বয়ংক্রিয় ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ তৈরিতে অসুবিধা রয়েছে। এই জাহাজের সামনে দাঁড়িয়ে দেখতে পাচ্ছি, আমরা এটি করতে পেরেছি। এটিই বড় পুরস্কার বলে মনে হচ্ছে। ৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ৩ হাজার ২০০ টন ধারণ ক্ষমতার এই জাহাজ আগামী ২ বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে পুরো হুইল হাউস বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এতে লাগানো সেন্সরের সাহায্যে নিজে থেকে পুরো যাত্রা সম্পন্ন করতে পারলে আর চালকের প্রয়োজন হবে না।
জাহাজের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জস্টেইন ব্রাটেন জানান, জাহাজ চলার সময় চালকের ভুলে অনেক কিছু ঘটতে পারে। স্বয়ংক্রিয় জাহাজ চালানো সম্ভব হলে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা যেতে পারে।
তবে, স্বয়ংক্রিয় নেভিগেশনের জন্য নতুন নিয়ম প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো নীতিমালা নেই।