বতসোয়ানায় আবিষ্কৃত হয়েছে এক হাজার ৯৮ ক্যারেটের একটি হীরক খণ্ড। ধারণা করা হচ্ছে— এ পর্যন্ত পাওয়া রত্নের মধ্যে এটি তৃতীয় বৃহত্তম রত্ন।
‘দেভসোয়ানা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এ হীরাটি উত্তোলন করেছে বলে জানায় বিবিসি। এর পর পাওয়া রত্নটি দেশটির প্রেসিডেন্ট মোকগোয়েতসি মাসিসিকে দেখানো হয়।
এ হীরা আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিনেথ আর্মস্ট্রং জানান, ‘দেভসোয়ানার অর্ধশতকের বেশি সময়ের ইতিহাসে নতুন হীরাটি সবচেয়ে বড়’।
এর আগে ২০১৫ সালে বতসোয়ানায় পাওয়া আরেকটি রত্ন পাথর দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সেটির নাম রাখা হয়েছিল লেসেদি লা রোনা। সেটির চেয়ে ওজনে সামান্য কম নতুন পাওয়া এ হীরাটি।
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরা উত্তোলন করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। ১৯০৫ সালে উত্তোলন করা ‘কুল্লিনান’ নামের সেই হীরাটি ছিল তিন হাজার ১০৬ ক্যারেটের।
আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানাতেই সবচেয়ে বেশি হীরা উৎপাদন হয়। দেশটির সরকার ও ডায়মন্ড জায়ান্ট ডি বিয়ার্সের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হয় ‘দেভসোয়ানা’ প্রতিষ্ঠানটি। আর তাদের অর্জিত অর্থের প্রায় ৮০ শতাংশই লভ্যাংশ, রয়্যালটি ও কর বাবদ পায় বতসোয়ানা।
এ হীরাটি উত্তোলনের পর দেশটির খনিজসম্পদমন্ত্রী লেফোকো মোয়াগি জানান, ‘করোনা মহামারির পর থেকে এমন সুসময় আর আসেনি তার দেশে’।