নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে এসে প্রথম দুই ম্যাচে হারের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশের নারী দল। তবে সোমবার (১৪ মার্চ) পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিল নিগার-রুমানারা। হ্যামিলটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ রানের জয় তুলে নিল বাংলাদেশ।
একসময় মনে হচ্ছিল, এত বিশাল টার্গেট দিয়েও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে বাংলাদেশের। একসময় ১৮৩ রানেও পাকিস্তানের ছিল মাত্র ২ উইকেট। তবে হঠাৎ ফাহিমা খাতুন-ঝড়ে উড়ে গেল পাকিস্তান। তার এক ওভারে ২ উইকেটই ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেয়। ১৮৩ থেকে ১৮৮ রানের মধ্যে পাকিস্তানের পড়ে ৪ উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে একাই লড়ে জাচ্ছিলেন সিদরা আমীন। তিনি করেন ১০৪ রান। তবে জেতাতে পারেননি পাকিস্তানকে। যার ফলে ইতিহাস গড়ে নারী বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ২৩৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ফারজানা হক পিংকি করেন ৭১ রান। এ ছাড়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও শারমিন আক্তার করেন যথাক্রমে ৪৬ ও ৪৪ রান।
২৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের নারীরা ধীরেসুস্থেই শুরু করেন। প্রথম জুটিতেই তুলে নেয় ৯১ রান। তারপর সিদ্রা আমীন ও অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ দলকে জয়ের দিকে নিয়ে জাচ্ছিলেন। তবে বাংলাদেশের স্পিনার ফাহিমা তার সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের দুই সেট ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। এরপরই একে একে উইকেট পরতে থাকলে জয় অধরা রয়ে যায় পাকিস্তানি নারীদের জন্য। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন। এছাড়াও দুইটি উইকেট পান রুমানা আহমেদ। এই হারের ফলে বিশ্বকাপে চার ম্যাচে চারটিতেই হারল পাকিস্তানের নারীরা।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আসরে এরই মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে জ্যোতি-রুমানারা। দুই ম্যাচে দুই হারে এখনো জয়শূন্য টাইগ্রেস দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।