আরেকবার সেই লিওনেল মেসি। যেন শেষ থেকে শুরু করলেন। বুয়েন্স আয়ার্সের স্তাদিও মাস মনুমেন্টালে ৭৭ মিনিট পর্যন্ত দাঁত কামড়ে লড়ে যায় ইকুয়েডর। কিন্তু, মেসির এক ফ্রি-কিকে প্রতিরোধ শেষ। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে মেসির একমাত্র গোলে ইকুয়েডরকে ১-০তে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা।
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর একাধিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। সেসব ম্যাচে খেলার আবহ যতটা না ছিল, তার চেয়ে ঢের বেশি ছিল উৎসবের আমেজ। ৩৬ বছর পর মিলেছে কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ, মেসি পেয়েছেন আরাধ্য শিরোপার স্বাদ। সব পেছনে ফেলে শূন্য থেকে নতুন লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে আর্জেন্টিনা।
আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের কনমেবল বা দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্ব। ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা ঘরের মাঠে আতিথ্য দিয়েছে ইকুয়েডরকে। ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট আকাশি-নীলরা শুরুটাও করে ফেভারিটের মতোই। নিজেদের সহজাত ফুটবল উপহার দিয়ে ঘরের মাঠে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে থাকে। বল দখল কিংবা আক্রমণ, শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মেসি-ডি মারিয়াদের পায়ে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে প্রথমার্ধে একাধিক গোল পেতে পারত আর্জেন্টিনা। তবে, তা না হওয়ায় গোলশূন্য সমতায় বিরতিতে যায় তারা।
বিরতির পর লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা আরও গোছালো ফুটবল খেলেন। একটু একটু করে চেষ্টা করে ইকুয়েডরের গোলমুখ ভাঙতে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিছিন্ন আক্রমণ শানায় ইকুয়েডরও। যদিও সেগুলো বিপদে ফেলেনি আর্জেন্টিনাকে। তবে, ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোলে আলবিসেলেস্তেদের এগিয়ে নেন অধিনায়ক মেসি। তাতে উল্লাসে মেতে ওঠে গোটা মাস মনুমেন্টাল। শেষ পর্যন্ত এই একটি গোলই হয়ে রয় জয়সূচক।
পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনার নিয়ন্ত্রণে ছিল ৭১ শতাংশ বল। প্রতিপক্ষের গোলমুখে মোট ১৩টি শট নেয় তারা। যেখানে ইকুয়েডর শট নিয়েছে পাঁচটি।
কনমেবল অঞ্চল থেকে বাছাই পর্বে অংশ নিয়েছে মোট ১০টি দল। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হোম ও অ্যাওয়ের ভিত্তিতে প্রত্যেক দল দুবার করে একে অপরের মোকাবিলা করবে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে, সপ্তম দল জায়গা পাবে আন্তমহাদেশীয় প্লে অফে। সেই বাধা পার হতে পারলে জায়গা মিলবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে।