বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান শূন্যের চক্রান্ত করছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমানসহ শীর্ষনেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। জেলা নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরনো মামলা সচল করে দ্রুত সাজা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, বিকেলে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে দলটির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সুস্থতা কামনাসহ কারামুক্তির দাবিতে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে। তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারও পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো যখন স্যাংশনসহ ভিসা নীতি আরোপ করছে, দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে ওঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে তখনই আবার শুরু হয়েছে দমননীতি। শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা। যে কর্মীকে গতকাল আটক করা হয়েছে তাকে আজকের একটি সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন হাজারও নেতাকর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে। এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু কিছু সম্পাদক বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক সরকারকে ডিপেন্ট করে কথা বলছেন। গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহ্বান করব আপনারা জনগণের কাতারে আসুন। জনগণ কি চায় তা শুনুন।
তিনি বলেন, সরকারের রাখাল বালকের কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন। অল্পদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। আর এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, আনম সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, সেকেন্দার কাদির, হাজী মনির হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।