তিমির বনিক, মৌলভীবাজার থেকে: চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। পরিবারের অগোচরে সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন দু’জনে।
বিয়ের প্রলোভনে শারিরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পরেন তারা। কিন্তু শেষ মুহুর্তে পারিবারিক ভাবে জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিয়ে ঠিক হয়। তবে ছেলে পক্ষের ১০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি মেটানোর অনীহায় ভেঙ্গে যায় বিয়ে। শেষে বিয়ের দাবীতে রোজ বৃহস্পতিবার (৩রা ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার থেকে ছেলের বাড়িতে অনশন শুরু করছেন এই যুবতী (২১)। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের বড়দল গ্রামে। তবে ছেলের পরিবারের দাবী, বুধবার রাতে ছেলে দুবাই চলে যাওয়ায় এব্যাপারে তারা কিছুই করতে পারবেন না এলাকাবাসী ও যুবতীর সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের আশ্বাদ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার (১৯) সাথে দেড় বছর আগে একই গ্রামের তার চাচাতো বোন আপ্তাব মিয়ার মেয়ে সীমা বেগমের (২১) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে মেয়েটির সাথে শারিরিক সম্পর্কেও জড়ায় রাসেল। ৭ মাস আগে বিষয়টি জানাজানি হলে পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়। ছেলের পছন্দ মতো কেনাকাটা শেষ করে মেয়ে পক্ষ। বিয়ের কয়েকদিন আগে ছেলে পক্ষ মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে মেয়ে পক্ষের কাছে ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে।
এতে বিয়ে দিতে অনীহা প্রকাশ করেন মেয়ের বাবা-মা পরিবারবর্গ। এরপর থেকে একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সমাধানের চেষ্টা করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। শেষে বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ের দাবিতে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে ওই যুবতী। ছেলের পরিবারের দাবী, বুধবার রাতে রাসেল মিয়া দেশ ছেড়ে দুবাই চলে গেছে। তবে মেয়ের দাবী, সে এখনো দেশে পালিয়ে আছে। অনশনরত যুবতী সীমা বেগম বলেন, রাসেল আমার সাথে প্রেম ও প্রলোভন দিয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর তারা ১০ হাজার টাকা যৌতুক চাওয়ায় আমার পরিবার বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। তারপরেও আমার সাথে তার সম্পর্ক ছিল। সে আমাকে জোর করে অজ্ঞাত ঔষধ খাইয়ে দেওয়ায় আমার মাথায় ঝিমঝিম করছে। আমি রাসেলের সাথে বিয়ে ছাড়া তার বাড়ি ছেড়ে যাবো না। রাসেলের নানা দলিল মিয়া বলেন, মেয়ে পক্ষ বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু মেয়ে সকালে এই বাড়িতে এসে বসে আছে। ছেলে দুবাই চলে গেছে। কিন্তু মেয়েকে আমরা বিষয়টি বুঝাতে পারছি না। ছেলে বিয়ে না করলে আমরা কিভাবে তাকে ঘরে তুলব?এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াংকা পাল বলেন, ঘটনা জানার পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিষয়টি দেখতে বলেছি। তাদেরকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে দ্রুত মিমাংসা করতে বলেছি।