রকিকুল ইসলাম দুবাই হয়ে কানাডায় যাবেন ২ জানুয়ারি। টার্কিস এয়ারলাইনসের টিকিট কাটতে গিয়ে তার মাথায় হাত। সত্তর হাজার টাকার টিকিট কাটতে হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা দিয়ে। জুলহাসও একই দিন যাবেন দুবাই। তিনি কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যেতে টিকিট কেটেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৪৭ হাজার টাকা দিয়ে। অথচ সপ্তাহ খানেক আগে একই টিকিটের দাম ছিল ৬৫ হাজার টাকা।
গত বৃহস্পতিবার ওই দুজনের সঙ্গে কথা হয়।
তাদের মতোই যারা দেশের বাইরে যাচ্ছেন, বিশেষ করে শ্রমিকরা টিকিট কাটতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসার পর যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় এয়ারলাইনসগুলো ইচ্ছামতো টিকিটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বিমানের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এমনটা আগে ছিল না।
এমনকি গত অক্টোবরেও ভাড়া অনেক সহনশীল ছিল। নভেম্বরের শুরু থেকেই এমন কা- দেখছেন।
কয়েকটি এয়ারলাইনস কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা দাবি করেন, ভাড়া বাড়েনি। আসন সংকটের ফলে ‘সিস্টেমের’ কারণে এমনটি হয়েছে।
বিমানসংস্থাগুলোর ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে গত সপ্তাহে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো গত সপ্তাহে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের কাছে প্রতিকার চেয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান মধ্যপাচ্যসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলরত বিমানসহ সবকটি এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনলাইনে বিশেষ বৈঠক করেছেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটের বিমানের টিকিটের ভাড়া কমাতে বলেছেন।
জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি দুঃখজনক। যদিও কমার্শিয়াল ইস্যুতে বেবিচকের হস্তক্ষেপ করার তেমন সুযোগ নেই। তারপরও আমরা এয়ারলাইনসগুলোকে ডেকে ভাড়া কমানোর নির্দেশ দিয়েছি। কারণ ভারত নেপাল পাকিস্তান আশপাশের কোনো দেশের ভাড়া বাড়েনি। শুধু ঢাকায় কেন এত ভাড়া বাড়বে। এমন যুক্তি দেখিয়ে কৈফিয়ত চাওয়ার পরও কিন্তু তারা তাতে তেমন কোনো সায় দেয়নি।
উল্টো ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের চার্জ বাড়িয়েছে, তাই ভাড়া কিছুটা বেড়েছে।
তারপরও আমরা ভাড়া কমাতে বলেছি।’
উৎসঃ দেশ রুপান্তর