আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন কর্তন সমন্বয় না করলে চুক্তির বাইরে কোনো ফ্লাইট করবেন না বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটরা।
বুধবার পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে বিমান ম্যানেজমেন্টকে।
সকালে বাপার নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান বাপার সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা ঝুঁকি নিয়েও বিমানের সঙ্গে চুক্তির বাইরে অনেক বেশি ফ্লাইট করছি।
৩১ জুলাইয়ের পর যদি আমাদের দাবি মানা না হয় তাহলে আমরা অতিরিক্ত ফ্লাইট করব না।
জানা গেছে, পাইলটদের এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে বিমানের আবুধাবী, দুবাই, দোহা ও দাম্মাম ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে আগামী ঈদুল আজহার আগে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েক হাজার যাত্রীর দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি ভেঙে পড়তে পারে বিমানের ফ্লাইট সিডিউল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিমানের পরিচালক প্রশাসন জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক প্রশাসনিক আদেশে বলা হয়- বিমানের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কর্তনের যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগামী জুলাই থেকে সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ জুলাই থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুরো বেতন-ভাতা পাবেন।
তবে পাইলটদের বেতন কর্তনের যে সিদ্ধান্ত ছিল সেটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে যেসব পাইলটের চাকরির বয়স ৫ বছরের মধ্যে শুধু তাদের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর বাইরে যাদের চাকরির বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তাদের বেতন কর্তন ২০ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ করা হবে। আর ১০ বছরের ঊর্ধ্বে চাকরিরত পাইলটদের বেতন কর্তন ৪০ শতাংশের বদলে ২৫ শতাংশ করা হবে।
বাপা নেতারা বলেছেন, বিমান প্রশাসন কৌশলে বিমানের সিনিয়র পাইলটদের আন্দোলন দমন করতে এক ধরনের হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫ বছর বয়সী পাইলটদের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সমন্বয় করায় মাত্র ১০-১২ জন এই সুবিধা পাবেন। অথচ বিমানে মোট পাইলটের সংখ্যা ১৫২ জন। প্যাকেজ বেতন থেকে আগে ওভারসিস অ্যালাউন্স বাদ দিয়ে ওই বেতনের ওপর ২৫ শতাংশ কর্তন করা আরেক হটকারী সিদ্ধান্ত।