মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্তিতিতে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর লণ্ডন রুটে চালু হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বাণিজ্যিক ফ্লাইট। রোববার (২১ জুন) দুপুর ১২টা ২ মিনিটে ১৮৭ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটটি (ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯) যুক্তরাজ্যের লণ্ডনের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
আরো পাঁচটি বিদেশী এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য অনুমতির অপেক্ষায় আছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার মালিন্দো এয়ার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এয়ার অ্যারাবিয়া, ফ্লাই দুবাই, তুরস্কের টার্কিশ এয়ারলাইনস এবং ওমানের ওমান এয়ারওয়েজ ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে আগ্রহ দেখিয়ে আবেদন করেছে। এর মধ্যে বেবিচক টার্কিশ এয়ারলাইনস, ওমান এয়ার ও এয়ার অ্যারাবিয়াকে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিতে বলেছে । তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সংস্থাটি।
বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর জানান, ঢাকায় কাতার এয়ারওয়েজ ও এমিরেটস এয়ারলাইনসকে ফ্লাইট পরিচালনা করতে এরই মধ্যে অনুমতি দেয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ফ্লাইট পরিচালনা শুরুও করেছে কাতার এয়ারওয়েজ।
তিনি আরো জানান, টার্কিশ এয়ারলাইনস আগামী ১ জুলাই থেকে এবং ওমান এয়ারকে ৩ জুলাই থেকে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তবে এখনই সবকিছু চূড়ান্ত নয়। এয়ারলাইনসগুলোকে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ও বাংলাদেশের যাত্রীরা কী কী সুবিধা পাবে, সেসব অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
এমিরেটস অনুমতি পেলেও এখনো ফ্লাইট চালানো শুরু করেনি। এক বিজ্ঞপ্তিতে এমিরেটস এয়ারলাইনস জানায়, যাত্রীবাহী ফ্লাইট শুরুর ব্যাপারে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমরা যথাসময়ে আমাদের ফ্লাইট সংক্রান্ত বিশদ তথ্য জানাব।
গত ১৭ জুন রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে স্বাস্থ্যবিধি ও বেবিচকের নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন দেশ থেকে কাতার হয়ে ৩৩ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট। পরবর্তী সময়ে কাতার এয়ারওয়েজ রাত ৩টা ১০ মিনিটে ফিরতি ফ্লাইটে ২৭৪ জন নিয়ে চলে যায়। প্রাথমিকভাবে তারা সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।