হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও ফাতেমা নজিবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ জানান, এর আগে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণ জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আইনজীবী আরও জানান, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ওই রিটে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত। এর আগে ২০১৯ সালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারের মাধ্যমে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণ জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।’
এ ছাড়া শাহজালাল বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মশা নিধনে কেন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। চার সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ওইদিন শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
তার আগে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ।
ওইসময় আইনজীবী তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি আমার দাদিকে নিয়ে টিকেট কেটে দর্শনার্থী হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করি। ওইদিন রাত ১০টার দিকে সেখানে অবস্থানকালে অনেক দেশি-বিদেশি বিমানযাত্রীকে মশার দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখি। শাহজালাল বিমানবন্দর দেশের সুনামকে প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতায় বিমানবন্দরের ভেতরে মশার তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এর পর মশা নিধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই।
আইনজীবী আরও বলেন, নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে বিমানবন্দরের ভেতর মশা নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ৩ মার্চ প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করি।