সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী ও সংগঠক আলহাজ্ব ইয়াকুব সৈনিক দেশে আটকা পড়া প্রবাসীদের ফেরত আসতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আজ তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক খোলা চিঠির মাধ্যমে এই দাবি জানান। পাঠকের কাছে চিঠিটি হুবুহু তুলে ধরা হল_
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী,
আস্সালামু আলাইকুম, আমরা অত্যান্ত পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি আজ দীর্ঘ দিন হলো আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের বিমন যোগাযোগ বন্ধ। করোনা আগ্রাসনের কারনে আমিরাত সরকার এ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে গত ১২ মে থেকে। এই পরিপেক্ষিতে আজ প্রায় ৪ মাস যাবত আমিরাত প্রবাসীরা বাংলাদেশে আটকা পড়ে আছে। প্রতিক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে প্রবাসীরা আজ ক্লান্ত। ৫০ হাজারের উপর প্রবাসী উৎকন্ঠায় তাকিয়ে ছিল কবে তাদের ভাগ্য বিধাতা সহায় হবে,কবে তারা আমিরাত ফিরে আসবে। আজ দুঃখের সাথে বলতে হয় দীর্ঘ দিন দেশে অবস্থান করার কারনে অনেক প্রবাসী নিঃশ্ব হয়ে গেছে। অনেকে বৌয়ের গয়নাগাটি বিক্রয় করে নিজের খরচ চালাচ্ছে। অনেক আবার তরি তরকারী বিক্রি ও সি এন জি চালিয়ে দিনাতিপাত করছে। কেউ কেউ চলছে ধার ওধার করে। এ বিষয়টি একজন প্রবাসীর জন্য লজ্জাকর। অসংখ্য প্রবাসী ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা বনিজ্য ফেলে দেশে আটকে থাকায় তাদের ব্যবসা দেওলিয়া হতে চলেছে।রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে হঠাৎ করে।দীর্ঘদিন বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি অনুধাবন করে গত ৩০ আগষ্ট আমিরাত সরকার বাংলাদেশীদের জন্য তাদের সকল প্রতিবন্ধকতা তুলে দিয়েছে। কিন্তু তাদের শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের বিমান বন্দর গুলোতে রেপিড পি সি আর টেষ্ট ল্যাব বসাতে হবে। এই শর্ত পূরন করে ভারত, নেপাল, শ্রিলংকা, পাকিস্তান আমিরাতের সাথে তাদের বিমান যোগাযোগ স্থাপন করেছে।ইতিমধ্যে এক্সপো ২০২০ মত বানিজ্যিক বড় ইভেন্টে এসব দেশের লোকজন সহজে চাকুরী নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে রেপিড পি সি আর ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী আটকে আছে বাংলাদেশে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহোদয় আপনাদের কাছে একজন সাধারণ প্রবাসী হিসেবে, বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন (আবির) দুবাইয়ের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সমিতির দুবাইয়ের সহ সভাপতি হিসেবে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। বাংলাদেশের তিনটি বিমান বন্দরে অতি দ্রুত পি সি আর টেষ্ট ল্যাব বসানোর মাধ্যমে আটকে পড়া ৫০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশীর আমিরাত আসার ব্যবস্থা করে দিলে আপনার রেমিটেন্স যোদ্ধারা সে প্রতিদান বাংলাদেশকে অবশ্যই ফিরিয়ে দিবে।’
এদিকে আমিরাতে বন্ধ ফ্লাইট ৩০ আগস্ট চালু হলেও বিমানবন্দরে রেপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে ছয় ঘন্টা পূর্বের নেগেটিভ সনদের শর্তের কারণে এখনো বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী আসতে পারছেন না। দেশে আটকা পড়া প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের দাবিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ইতোমধ্যে মানববন্ধন করেছেন।