হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সেবায় অব্যবস্থাপনার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের সময়ে যাত্রী হয়রানি অটোমেটিক হচ্ছে। আমাদের আন্তরিকতার কিছু অভাব ছিল অস্বীকার করি না। আমাদের ব্যর্থতা আছে এখানে। যাত্রী যারা হয়রানির শিকার হয়েছে তাদের সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
রবিবার ( ১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানবন্দরে এখন সচল ট্রলি ১ হাজার ৪০০। ৫০০ ট্রলি দ্রুততম সময়ে কেনার ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০ ট্রলি মেরামত করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন করে ২ হাজার ৫০০ ট্রলি কেনা হবে। ৩২ জনকে ট্রলিম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১ সপ্তাহের মধ্যে ৫০ জন লোক নিয়োগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের যাত্রীসেবায় কোনো গাফিলতিতে যাত্রীর হয়রানি হলে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি, ট্রলি সহজেই পাওয়া গেছে।’
এসময় বিমানবন্দর কর্মীদের হুশিয়ারি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রলি নিয়ে যদি সংকট তৈরি করা হয়, যদি সংকটের পেছনে কারও গাফলতি পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে।’
এদিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সংস্কার কাজের জন্য গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ছয় মাস রাতে আট ঘণ্টা ফ্লাইট চলাচল বন্ধ আছে । ফ্লাইটগুলোর সময়সূচি পুনর্বিন্যাসের পর বিমানবন্দরে ফ্লাইট ও যাত্রীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ ও মহড়ার কারণে ১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ও ১৬ ডিসেম্বর সকাল দশটা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত সোয়া দুই ঘণ্টা বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকছে। ফলে এ সময়ে যাত্রী ব্যবস্থাপনায় চাপ আরো বেড়েছে। প্রতিদিনই ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে, সময়মতো যাত্রী ফ্লাইট না ধরতে পারার ঘটনাও ঘটছে।