বিনা শুল্কে কয়টি মুঠোফোন আনতে পারবেন বিদেশ যাত্রী

বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় একজন যাত্রী ‘অপর্যটক ব্যাগেজ রুলস’ অনুযায়ী বিনা শুল্কে সর্বোচ্চ তিনটি মুঠোফোন আনতে পারবেন। এর মধ্যে একটি নতুন ও দুটি ব্যবহৃত ফোন হতে পারবে। অর্থাৎ, নিজের ব্যবহারের জন্য দুইটি পুরনো ও একটি নতুন মোবাইল ফোন দেশে আনা যাবে কোনো শুল্ক না দিয়েই।

তবে এর বেশি নতুন ফোন আনলে দিতে হবে শুল্ক-কর। ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের ফোনে ৫ হাজার টাকা, ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে হলে ১০ হাজার টাকা, আর ৬০ হাজার টাকার বেশি দামের ফোনে ২৫ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, একাধিক নতুন ফোন আনলে যাত্রীর কাছ থেকে ফোনের দামের ওপর নির্ভর করে বাড়তি শুল্ক-কর আদায় করা হবে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী মুঠোফোন ছাড়াও ১৯ ধরনের পণ্য বিনা শুল্কে এবং ১১ ধরনের পণ্য শুল্ক পরিশোধ করে দেশে আনা যায়।

কার্পেট (১৫ বর্গমিটার পর্যন্ত), ২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন, ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার, ভিডিও ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা, ওভেন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন, গৃহস্থালি সরঞ্জাম (রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, গ্যাস ওভেন ইত্যাদি), সেলাই মেশিন, টেবিল ফ্যান, ব্যক্তিগত ব্যবহারের খেলার সামগ্রী, ১০০ গ্রাম সোনার গয়না, এক কার্টন সিগারেট, সিডি ও স্পিকারসহ মিউজিক সিস্টেম।

শুল্ক দিয়ে আনা যায় যেসব পণ্য: ১১৭ গ্রাম স্বর্ণবার (শুল্ক ৪০ হাজার টাকা), ২৩৪ গ্রাম বা ২০ তোলা রৌপ্যবার, ৩০ ইঞ্চির বেশি টেলিভিশন, হোম থিয়েটার, রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজার, এয়ারকন্ডিশনার, ডিশ অ্যানটেনা, এইচডি ক্যামেরা, ঝাড়বাতি, এয়ারগান (অনুমতিসাপেক্ষ), এবং ডিশওয়াশার বা ওয়াশিং মেশিন। এসব পণ্যের শুল্ক-কর ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অন্যদিকে, ব্যাগেজ রুলসের কঠোরতা ও উচ্চ শুল্কের কারণে অনেকেই অবৈধ পথে ফোন আনছেন বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মুঠোফোন আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে এনবিআরকে।

Facebook Comments Box
Share:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *