ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তিনি বুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মুহিদ মিয়া (৪৫)।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ওই ছাত্রীর মামা মো. রহিম আলী বাদী হয়ে সরাইল থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক গা-ঢাকা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর মা-বাবা প্রবাসে থাকেন। ছাত্রী তার মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকালে সে বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন বিরামহীনভাবে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। বেলা তিনটায় বিদ্যালয় ছুটি হয়। কিন্তু শিক্ষক আবদুল মুহিত কৌশলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে রেখে দেন। বাকি সবাইকে বাড়ি যেতে বলেন। একসময় বিদ্যালয়ে ওই ছাত্রী ও শিক্ষক ছাড়া কেউ ছিল না। তখন শিক্ষক মুহিত দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
চিৎকার করার চেষ্টা করলে ওই ছাত্রীকে একটি ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন শিক্ষক। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার নানির কাছে ঘটনা খুলে বলে। ছাত্রীর মামা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।