বিদেশ গমনেচ্ছুদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা ফি সাড়ে তিন হাজার থেকে কমিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা করেছে সরকার।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাইওয়ানের পক্ষ থেকে করোনার সুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছে, সে কারণে বিদেশ যাওয়ার আগে করোনা পরীক্ষার ফি সাড়ে তিন হাজার থেকে কমিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এর আগে টেস্টের জন্য নির্ধারিত ফি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০০ টাকার টেস্ট ১০০ টাকা, ঘরে বসে টেস্ট ৫০০ থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেই এসব করা হয়েছে।
করোনার তিন ধরনের টেস্ট হয় জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটা হলো পিসিআর টেস্ট, যেটা আমরা করে যাচ্ছি। আর দু’টি টেস্ট- একটি অ্যান্টিজেন এবং অপরটি র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, পিসিআর টেস্টের (প্রচলিত টেস্ট) পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তবে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট এ মুহূর্তে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পিসিআর টেস্ট আমরা করে যাচ্ছি। একটা ল্যাব থেকে এখন প্রায় ৮৮টি ল্যাবে পিসিআর টেস্ট হয়। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেইভাবে বাড়ছে না কারণ কিছু লোকের অনীহা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট যেটা আছে, সেটা আমরা এখন সীমিত আকারে করার অনুমতি দেব। সেটা হবে আমাদের হাসপাতালগুলোতে (সরকারি হাসপতাল) এবং আমাদের যে সরকারি ল্যাব আছে সেখানে। যেখানে আমাদের ল্যাব নেই, সরকারের তত্ত্বাবধানে আমরা সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা আগামীতে করবো।
অ্যান্টিজেন টেস্টে কম খরচে স্বল্প সময়ে রিপোর্ট আসে এবং ফলের নির্ভরতা ৭০-৮০ শতাংশ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।