অন্য কারও কথায় নয়, দেশের মানুষ যখন বলবে ভোটের ওপর তাদের আস্থা ফিরে এসেছে তখনই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আমেরিকায় গিয়ে কথা বলতে হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার, এপ্রিল ০৯, ২০২২, মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে সিলেটের নবনির্বাচিত নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, জনগণের দাবি হিসেবে এই সরকারের উচিত দ্রুত পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থায় একটা নির্বাচন দেওয়া। তাহলে দেশের সব জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা আসবে। বিএনপিও জনগণের দল হিসেবে সেই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেবে।
‘এটার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে তাদের অনুরোধ করেছেন তারা যেন বিএনপিকে বলেন নির্বাচনে অংশ নিতে। এটা তো অন্য কারও বলার বিষয় না। আমরা মনে করি এই দেশের মানুষ যেদিন বলবে তারা ভোট দিতে পারবে, তাদের আস্থা ফিরে এসেছে, সেই দিন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমরা লজ্জিত, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে ধরনা দিচ্ছেন, লবিং করছেন। কিন্তু কয়েক দিন আগেও এই আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, বিএনপি নাকি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। আজকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত ধরনা কারা দিচ্ছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন মনে করছে, সবদিকে তারা ব্যর্থ এবং পরাজিত, তখন বিদেশির কাছে সহযোগিতা চাচ্ছে। এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। এটা তো বেশি কিছু কথা নয়।
তিনি বলেন, আজকে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছেন, তারা পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট চুরি করেছেন। তাতে জনগণ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা জনগণের দল বিএনপি করি, আমাদের আস্থা নেই। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।
এ সরকারের অধীনে কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। অতএব এর সমাধান আমেরিকায় গিয়ে কথা বলা নয়। আমেরিকার কাছে ধরনা দেওয়া নয়। এর সমাধান হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে, যোগ করেন খন্দকার মোশাররফ।
এ সময় উপস্থাপনা ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেটএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামিম আহমদ প্রমুখ।