দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভা শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী ১২ মে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। আর ১৪ মে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
এ কর্মসূচি ঘোষণার আগে মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুর ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আবারও বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার হলেই কেবল নির্বাচনের কথা হতে পারে।
ইভিএম প্রসঙ্গেও কথা বলেন ফখরুল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে এ নেতার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা বলেন? এতেই প্রমাণিত হয়, সরকার ইচ্ছা করেই দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।
বিএনপি মহাসচিবের দাবি, পরিকল্পিতভাবে জিয়াউর রহমানের আবদানকে খাটো করা হচ্ছে। একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করতেই বিএনপি প্রতিষ্ঠার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র নির্মাণের পথ দেখিয়ে গেছেন।
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যেও নানা কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে মির্জা ফখরুল। আগামী ৩০ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত বিএনপির উদ্যোগে পালিত হবে বিভিন্ন কর্মসূচি।
অবিলম্বে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জীবনভর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন তিনি। খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ ইসি ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার দায়ে সরকারের পদত্যাগও দাবি করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।