তেল ও চালের পাশাপাশি বাড়ছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। ক্রেতার নাগালে নেই সাবান, ডিটারজেন্ট, এরোসলের মতো অনেক সামগ্রী। নতুন করে বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তার ত্রাহি অবস্থা। আয় না বাড়লেও লাফিয়ে বাড়ছে পণ্যমূল্য। নানামুখী উদ্যোগেও ফিরছে না স্বস্তি।
এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে একেকটি সাবানের দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। ব্রান্ড ভেদে এই দাম আরও বেশি। পাশাপাশি বেড়েছে ডিটারজেন্টের দামও। কেজিতে এই পণ্যের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। এরোসল, টুথপেস্ট, টিস্যু, স্যাম্পু এর দামও বেড়েছে প্রায় ৫ থেকে ৭ ভাগ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর নতুন করে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। আমদানি জটিলতায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে, কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বাজার জুড়েই অস্বস্তি ও দীর্ঘশ্বাস। নিয়ন্ত্রণে আসছে না পণ্যমূল্য। ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে উদ্যোগ আছে, কিন্তু সুফল মিলছে না। তাই ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় আরও নতুন কৌশল গ্রহণ করা দরকার।
তবে এ নিয়ে কাজ চলছে উল্লেখ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি দরকার। তারা যৌক্তিক লাভ করবে সেটাই আমরা চাই। তবে এ জন্য কেউ যদি ম্যানিপুলেট করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বাজারে গিয়ে জারমানা করা বা আইনি প্রক্রিয়া আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।