বাহরাইনে দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে কেএম রুহুল রাব্বী (৪৮) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ মে) বিকেলে বাহরাইনের জাল্লাক মহাসড়কের বাহরাইন ইউনিভার্সিটির কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাব্বীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত রকিব উদ্দিনের ছেলে। দ্রুত রাব্বীর মরদেহ দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাব্বীর বাবা-মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে রাব্বী দ্বিতীয়। ২০১৭ সালে বাহরাইনে পাড়ি জমান রাব্বী। সেখানে একটি কোম্পানিতে সুপারভাইজারের চাকরি করতেন তিনি। এর আগে রাব্বী সিঙ্গাপুরে ছিলেন। বাহরাইনে যাওয়ার পর তিনি আর দেশে ফিরেননি। স্ত্রী আসমা বেগমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল না রাব্বীর।
রাব্বীর ভাগ্নে আরাফাত হোসেন বলেন, আজ ভোরে বাহরাইন থেকে মেজো মামা মাসুদ খন্দকার আমার মা সাঈদা ইয়াছমিনকে ফোন করে জানায়, বড় মামা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। মামা ঈদের ছুটিতে তার বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্র পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনিসহ তিনজন মারা যান বলে শুনেছি।
তিনি বলেন, মামা ১০ বছর আগে বিয়ে করেন। কিন্তু তার কোনো সন্তান ছিল না। মামির সঙ্গেও মামার কোনো যোগাযোগ ছিল না। চলতি বছরের শেষ দিকে মামার দেশে ফেরার কথা ছিল। আমরা দ্রুত মামার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা নিহতের বাড়িতে যোগাযোগ করেছি। মরদেহ আনা থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের সহযোগিতা আমরা করব।