সোলায়মান হাসান: নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান জহিরুল হক
জহিরুল হক ১৯৯১ সালের দলীয় প্রার্থী আবুল হাসানাতের সাহেবের নির্বাচনে বারদী ইউনিয়নের নির্বাচন কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৩ সালে বারদী ইউনিয়ন কর্মী সম্মেলনে সাবেক সংসদ মোবারক হোসেন সাহেবের সাথে থাকা জহিরুল হক, তাহার ছোট ভাই আজিজুল হক এর উপর হামলা চালায় জামাত বিএনপি সন্ত্রাসী বাহিনীরা, দীর্ঘদিন ঢাকার একটি বেসরকারি হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা।
১৯৯৬ সালে পুনরায় আবারো দলীয় প্রার্থী আবুল হাসানাত সাহেবর নির্বাচনে বারদী ইউনিয়নের কমিটির আহবায়ক ও দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৭ সালে বারদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সম্মেলনে
কাউন্সিলরদের ভোটে, বারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে সোনারগাঁয়ে জাতীয় নির্বাচনে আবু নূর বাহাউল হক সাহেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বারদী ইউনিয়নের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪ হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কাঁচপুর মহাসড়কে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করতে গিয়ে, মামলা হামলাও গ্রেফতারের শিকার হন। হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দীর্ঘদিন।
১৯৯১ হতে ২০০১ সালে পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় জহুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা কারাবরণ করেন , তাদের মামলার আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২০০১ সালে মামলার হামলার শিকার হয়ে নিজ এলাকা থেকে ঢাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে অবস্থান করেন, পার্টি অফিসের লঙ্গরখানায় খাবার খেয়ে জীবন নির্বাহ করেন দীর্ঘদিন।
২০০২ সালে বারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে, পুনরায় বারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে সোনারগাঁ জাতীয় নির্বাচনে কায়সার হাসেনাত সাহেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব পালন করে, বিপুল ভোটে নৌকা মার্কায় তাহাকে বিজয়ী করেন।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বারদী ইউনিয়নে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন।
২০১১ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হতে মনোনয় নিয়ে, ১৯৭৫ সালের পর প্রথমবারের মতো বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তৎকালীন যুবদলের বারদী ইউনিয়নের সভাপতি কে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন।
২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতিক নিয়ে , দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও একজন বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে পুনরায় বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীকের সমর্থন করে, প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন।আওয়ামী লীগের যেকোন দলীয় প্রোগ্রাম ও সম্মেলনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সেও তার পরিবার।