হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর প্রেস সচিব মাওলানা মো. ইনামুল হাসান জানিয়েছেন, গতকাল বেফাকের আমেলার বৈঠকে অল্লামা আহমদ শফির পদে আসীন হতে লিখিত ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে আল্লামা মাহমুদুল হাসান ৬৩ ভোট এবং আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ৫০ ভোট পেয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়। সেখানে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর ভোট পাওয়ার কোন তথ্য ঘোষণা করা হয়নি। আমি নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলাম।
ইনামুল হাসান বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরী সেখানে কোন প্রার্থীই ছিলেন না। মজলিসে আমেলার বৈঠকে তার ভোট পাওয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়নি। তাকে অপমান করার জন্যই কেউ কেউ ৩ ভোট পাওয়ার তথ্য প্রচার করেছে। এটা একটা ষড়যন্ত্র।
উল্লেখ্য, আল্লামা শাহ আহমদ শফির মৃত্যুতে বেফাকের সভাপতি এবং মহাসচিব ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে আব্দুল কুদ্দুস পদত্যাগ করায় দু’টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে আল্লামা মাহমুদুল হাসান সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ায় সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীকে দায়িত্ব দেয় মজলিসে আমেলা।বৈঠকে আমেলার ১৫৭ সদস্যের মধ্যে ১২৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে মহাসচিব পদটিতে আল্লামা মাহফুজুল হক ৭৩ ভোট পেয়ে মনোনীত হয়েছেন। তার বিপরীতে মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন পেয়েছেন ৩৯ ভোট। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন বেফাকের সহ-সভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস।