নোয়াখালীতে বাবার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের ভুয়া সনদ দিয়ে পুলিশে চাকরি নেওয়ার দায়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আরিফুল ইসলাম (৩২) চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আরিফুল ইসলাম ২০১২ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের সময় নিজের বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে ভুয়া সনদ দেন। এরপর তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে থাকেন। নিয়োগের কিছু দিন পর বিষয়টি জানাজানি হয়। তদন্তে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
এরপর ২০১৩ সালে পুলিশ লাইনের তৎকালীন রিজার্ভ অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে চাটখিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। সর্বশেষ মামলার তদন্তভার পায় দুদক। দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় তদন্ত শেষে বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নোয়াখালী জেলা দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে মামলার শুনানি শেষে বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান অভিযুক্তকে ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ও চার ধারায় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। সব সাজা একসঙ্গে কার্যকর হওয়ায় আসামিকে ৫ বছর সাজা খাটতে হবে। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত আরিফুল ইসলাম এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন।