বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান: বান্দরবানে চাষীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা এবং স্থানীয় চাহিদার যোগান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাশরুম চাষ ও উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক একদিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশা’র আয়োজনে বান্দরবানের হটিকালচার সেন্টারের হলরুমে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে এসময় উপস্থিত ছিলেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (কৃষি) মো.খুরশীদ আলম,বান্দরবান জেলার সিনিয়র জেলা ম্যানেজার মো.মিলন মিয়া, রিজিওনাল ম্যানেজার রামেশ্বর দাশ, বান্দরবান হটিকালচার সেন্টার এর উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা অধীন চন্দ্র দে, আশা’র বান্দরবান ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সুদর্শন চক্রবর্র্তী,কৃষি অফিসার (মাশরুম) খায়রুল বাসার টিপুসহ জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার চাষীরা।
এসময় আশা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (কৃষি) মো.খুরশীদ আলম বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বান্দরবানে বর্তমানে আশার ৭জন কৃষক মাশরুম চাষে জড়িত আছেন। বান্দরবান জেলায় মাশরুম প্রকল্পে এ পর্যন্ত ৪লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে,এছাড়া বান্দরবানসহ মোট ১০টি জেলায় আশা’র মাশরুম চাষ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ১০টি জেলায় ২১২জন উদ্যোক্তাকে মাশরুম চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদান করা হয়েছে। আশার নিজস্ব অর্থায়নে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়াই আশার উদ্দেশ্য। স্বল্প জায়গায় অল্প খরচে মাশরুম উৎপাদনের মাধ্যমে একদিকে যেমন ভালো আয়ের সুযোগ রয়েছে ,পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণে আশার এই উদ্যোগ বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
এসময় আশা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (কৃষি) মো.খুরশীদ আলম আরো বলেন, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের মাটি আবহাওয়া আর জলবায়ু মাশরুম চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী ,আর তাই আশা বিভিন্ন ঋন সহায়তার পাশাপাশি চাষীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে মাশরুম চাষে ব্যাঁপকভাবে উদ্ধুদ্ধ করছে। এসময় তিনি আরো বলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশা বান্দরবানের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে আর তার সুফল পাচ্ছে সাধারণ জনগণ।
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে মাশরুম চাষ, মাশরুমের গুনাগুণ,স্বল্প সময়ে অধিক মাশরুম উৎপাদন,ঘরে ও ঘরের বাইরে উৎপাদনের নিয়ম এবং বাজার সম্প্রসারণের বিভিন্ন কৌশল প্রদান করেন প্রশিক্ষকেরা। আশার আয়োজনে জেলা সদরের ৩০জন চাষী এই প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণ করেন।