শাহ সুমন, বানিয়াচং,প্রতিনিধিঃ বানিয়াচং উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের তফশীল ইতিমধ্যে ঘোষনা হয়েছে। তফশীল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। তফশীল ঘোষনার পরপরই প্রার্থীও তাদের কর্মী সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারনায় সরগরম হয়ে উঠেছে।প্রার্থীগন ইতিমধ্যে উঠান বৈঠক ও মানুষের দুয়ারে দুয়ারে নিজেদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে মানূষজনকে আশ^স্ত করার পাশাপাশি ভোট প্রার্থনা করছেন। বানিয়াচং উপজেলায় মোট১৫টি ইউনিয়ন রয়েছে।
এরমধ্যে ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নটি সদর ইউনিয়ন হিসেবে চিহ্নিত।স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত বেশ ক‘জন চেয়ারম্যান হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন একাধিকবার চেয়ারম্যান ছিলেন। সদর ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি হওয়ার মর্যাদাপূর্ণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন ৯জন প্রার্থী।এরই মধ্যে রয়েছেন আওয়ামীলীগের ৪ জন। স্বতন্ত্র ৩জন। বিএনপি বলয়ের ২জন।
গিয়াস উদ্দিন আহমেদঃ ইউনিয়নটির বর্তমান চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির দলীয় মনোনয়নে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে প্রথমবার জয়লাভ করেছিলেন। এরপূর্বে তিনি তিন-তিনবার নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। বিগত নির্বাচনে তার জন্য নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছিলেন বিএনপি‘র একজন কেন্দ্রীয় নেতা ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান। এই বৎসর বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন না করায় গিয়াস উদ্দিন আহমেদ নির্বাচনী মাঠে একা হয়ে পড়ছেন। তবুও তিনি নির্বাচন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান খানঃ তিন তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান। চতুর্থ বারের সময় তিনি পরাজিত হয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন আহমেদের নিকট। তিনি বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।
এবারও তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করার আশায় দলের মনোনয়ন চেয়েছেন।
শাহজাহান মিয়াঃ আওয়ামীলীগের তৃণমূল থেকে উঠে আসা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে রাজনীতি শুরু করে বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতায় পরিনত হয়েছেন। সুদীর্ঘকাল আওয়ামী রাজনীতিতে শ্রম-ঘাম বিলিয়ে উজ্জ্বল এক ক্যারিয়ার ও সুন্দর নিস্কলক্সক্ষ ইমেজ সৃষ্টি করেছেন।তিনি দলীয়ভাবে মনোনয়ন চেয়ে এক বছর যাবৎ নির্বাচনী এলাকায় কাজ করে সাধারন জনগনের নিকট নৌকা মার্কার প্রচারনা চালিয়েছেন।
নজরুল ইসলামঃ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এডঃ নজরুল ইসলাম খান এবারই প্রথম ইউপি নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করলেও দলীয়ভাবে মনোনয়ন চান নাই। তিনি বিগত ইউপি নির্বাচনের পরপরই নিজেকে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন ব্যাপি প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন।
খায়রুল বাশার সোহেলঃ একমাত্র দল নিরপেক্ষ ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী সাবেক কলেজ শিক্ষক খায়রুল বাশার সোহেল। তরুন এই প্রার্থী একজন সামাজিক পঞ্চায়েত ব্যাক্তিত্ব। তিনি বিগত ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করে বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন। এবং নির্বাচনে লড়ে শেষ পর্যন্ত তিনি তৃতীয় হয়েছিলেন। এবার ও তিনি নির্বাচন করবেন।
সাহিবুর রহমানঃ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিবুর রহমান যুব রাজনীতি ছাড়াও ক্রীড়া এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি আওয়মীলীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করার জন্য দলের নিকট মনোনয়ন চেয়েছেন।
এসএম হাফিজুর রহমানঃ একদা বিএনপি‘র রাজনীতিতে সক্রিয় এসএম হাফিজুর রহমান বিগত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী রাজনীতিতে যোগদান করেছিলেন। অতীতে তিনি একবার ইউপি সদস্য ছিলেন। তবে তিনি আওয়ামীলীগের নিকট মনোনয়ন চান নাই। তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন।
শরীফ উদ্দিন ঠাকুরঃ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব তরুন ছাত্রনেতা শরীফ উদ্দিন ঠাকুর ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে কাজ করতেছেন।বিএনপি দলীয়ভাবে অংশগ্রহন না করলেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
ইমদাদুল হোসেন মাসুমঃ একজন শিক্ষক,সাংবাদিক ও ছাত্রনেতা বয়সে তরুন ইমদাদুল হোসেন মাসুম আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নির্বাচন করার জন্য ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি তার প্রার্থীতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহ বিভিন্ন মাধ্যমে সরব রয়েছেন।