ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার দুপুর ১২টা ৪ মিনিটে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী মেলার ২৮তম আসরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় হস্তশিল্পকে ২০২৪-এর বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।
অনুষ্ঠানে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গত ১৫ বছরে গৃহীত সরকারি পদক্ষেপের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
১৯৯৫ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবারের মেলা শুরুর সময় ২০ দিন পেছানো হয়েছে।
আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হতো। তবে ঢাকাবাসীর ভোগান্তি কমাতে গত দুই বছর ধরে (২০২২ সাল থেকে) পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরের বিবিসিএফইসিতে মেলা স্থানান্তর করেছে সরকার। এবার সেখানে তৃতীয়বারের মতো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা বসেছে।
দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি প্রতিবছর ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের তৈরি পণ্য নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন এই মেলায়।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩০টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে। যার মধ্যে বিদেশি স্টল থাকবে ১৫ থেকে ১৮টি।
গত বছর বাণিজ্যমেলায় শতকোটি টাকার পণ্য বেচাকেনা হয়েছিল। এ বছর ব্যবসা আরও ভালো হবে বলে আশা করছে মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
মেলায় প্রবেশ মূল্য সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য রাজধানীর ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে উত্তরা বা মতিঝিল থেকে যারা মেলায় যাবেন, তারা মেট্রোরেলে এসে ফার্মগেট থেকে বাসে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সোজা মেলায় চলে যেতে পারেন। সেই সঙ্গে মেলায় গাড়ি পার্কিংয়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।