একদিকে পণ্যের চড়া মূল্য; অন্যদিকে সরবরাহে কমতি, এই দুই সংকটে পড়ে নাজেহাল সীমিত আয়ের মানুষ। দাম কমার কোনো লক্ষণই নেই বাজারে। উল্টে সপ্তাহান্তে আরও চড়া হচ্ছে মূল্য। শাকসব্দি, চাল ও মাছ-মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের দামই এখন ঊর্দ্ধমুখী।
মূল্যবৃদ্ধির আঁচ লেগেছে মাছের বাজারেও। কম দামের তেলাপিয়া ও পাঙ্গাসের কেজিও এখন ২০০ টাকার নিচে মিলছে না। নদ-নদীর যেকোনো মাছ এখন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে হাজার টাকার বেশি। দামের উত্তাপে পুড়ছে চালের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে পণ্যটির দাম। সব ধরনের চালের দর কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত। বাজারে এখন সবচেয়ে কমদামের চাল বিআর-২৮। এক কেজির জন্য গুণতে হবে ৬০ টাকা।
এদিকে, চিনির বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। দোকানীদের অভিযোগ, সরকার খুচরা পর্যায়ে যে দাম বেধে দিয়েছে, পাইকারিতে তার চেয়ে কেজিপ্রতি দশ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। জরিমানার ভয়ে দোকানে চিনি রাখছেন না অনেকে।
গায়ে লেখা দরে সয়াবিন তেল মিললেও পর্যাপ্ত সরবারহ নেই। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের জন্য দিতে হবে ১৭৮ টাকা। অন্যদিকে ৫ লিটারের জন্য গুনতে হবে ৮৭০ টাকা।