বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে গত ২৪ ঘন্টার ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বুষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের মোংলা আবহাওয়া অফিস। এ সময়ের মধ্যে কোথাও কোথাও মাঝারি ও ভারি বর্ষনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারনে রাস্তা ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
বাগেরহাটের মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আশ্বিন মাসের এই টানা বর্ষনে বাগেরহাটের জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত শনিবার মাঝরাতের পর থেকে বুধবার (৪ সেপ্টম্বর) বেলা ১টা পর্যন্ত বৃষ্টিতে নাকাল হয়েছে জেলাবাসী। বিশেষ করে দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষজনের।
সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। বেলা ১১টার দিকে কথা হয় মোস্তফা নামে এক অটোরিকশা চালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিদিন অটো চালিয়ে আমার ভালোই আয় হতো। কিন্তু বৃষ্টির কারণে লোকজন কম থাকায় তেমন যাত্রী পাচ্ছি না। তার ওপর বৃষ্টিতে ভিজে খুব শীত করছে।
সকাল সারে ৮টার দিকে কথা হয় বাগেরহাটে বাজার করতে আসা মো. রফিক মিয়া নামের এক চাকরিজীবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সপ্তাহে ৬ দিন অফিস করতে হয়। বাজার ঘাটসহ প্রয়োজনীয় কাজ অফিস টাইমের আগেই করতে হয়। সকালে বৃষ্টি কম থাকায় বাজারে আসি। পরে বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে গেলে ভিজেই বাজার করতে হয়েছে। এতে আমার অনেক সমস্যা হয়েছে। আমার মতো আরও যারা বাজার করতে এসেছেন তারাও একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
একই অবস্থা যাঁরা বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে বের হয়েছেন তাঁদেরও। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাগেরহাট বাসষ্টান্ডে অনেক যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন, কিন্তু বৃষ্টির কারণে তাঁরা যেতে পারছেন না নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
এ ব্যাপারে বাগেরহাটের মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ বুধবার বেলা ১২ পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে এ বৃষ্টিপাত আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে দুর্ভোগ আরও কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।