
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশ গুলি চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আ. রহিমকে হত্যা করার বিষয়টি একটি দূর্ঘটনা। ‘পুলিশ জনগনের বন্ধু, ইতিপূর্বে কখোনই এ ধরনের ঘটনা নাই। আমি মনে করি ভোলার ঘটনা একটি দূর্ঘটনা। আমি আশা করি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কখনোই দুরত্ব সৃষ্টি হবে না।’ বাগেরহাটে বিদ্রোহী গ্রুপের বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠন বিরোধী এমন বক্তব্য রেখে তোপের মুখে পড়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম। বিএনপির এই নেতার দেয়া বক্তব্য পরে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় তোলপাড়।
সংগঠন বিরোধী বক্তব্য রাখায় তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবীতে গত কয়েক দিন ধরে বাগেরহাট জেলা,উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে মিছিল সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকাও দাহ করছেন। বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা জানান, গত ২ আগষ্ট বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের শহরের সুরুইস্থ কার্যালয়ে ওই গ্রুপের সদস্যরা ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশ গুলি চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আ. রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ করে। ওই সমাবেশে যোগ দিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম ‘ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশ গুলি চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আ. রহিমকে হত্যা করার বিষয়টি একটি দূর্ঘটনা। পুলিশ জনগনের বন্ধু, ইতিপূর্বে কখোনই এ ধরনের ঘটনা নাই। আমি মনে করি ভোলার ঘটনা একটি দূর্ঘটনা। আমি আশা করি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কখনোই দুরত্ব সৃষ্টি হবে না’ বলে বক্তব্য রাখেন। ইতিমধ্যে তার ওই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এঘটনায় বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তার বক্তব্যে শুধু বাগেরহাট নয়, সারা দেশের বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তার এমন সংগঠন বিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শুধু বাগেরহাট জেলা বিএনপি নয়, রামপাল, মোল্লাাহাট ও মোংলা
বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরাও মোজাফফর রহমান আলমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে মোজাফফর রহমান আলমের কুশপুত্তলিকাও দাহ করে তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী জানিয়েছেন। বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক প্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম যে বক্তব্য দিয়েছে তা সংগঠন বিরোধী, এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ কারনে দলীয় নেতাকর্মীর প্রতিবাদ রাস্তায় নেমে মিছিল সমাবেশ করে তার কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন। তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী জানাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপি বিষয়টি দেখছেন।
এ বিষয়ে আমি আর কোন কথা বলতে চাই না। ’পুলিশের প্রশংসা করে সংগঠন বিরোধী বক্তব্য রেখে বিপাকে পড়া জেলা বিএনপির সদস্য মোজাফফর রহমান আলম বলেন, নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে জেলা বিএনপি এখন দুই ভাগে বিভক্ত। বক্তব্য দেয়ার সময় মুখ ফসকে একটা কথা বের হয়ে গেছে। সেটাকে টার্গেট করে বিএনপির অপর অংশের নেতাকর্মীরা অহেতুক মিথ্যাচার করছে। আমাকে আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে ফেলছে। ইতিমধ্যেই আমি আমার দেয়া ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছি।