বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত দু’সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে ২০ জন। বৃহস্পতিবার নতুন করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ৫ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত জেলা হাসপাতালে ৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জ্বর ও সর্দিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই জেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। বৃহস্পতিবার এই হাসপাতালে জ্বর ও সর্দিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশত রোগী ভর্তি রয়েছেন। ভর্তি এসব রোগীদের রক্ত পরিক্ষা প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বিকেল পর্যন্ত ৮ জন ডেঙ্গু রোগী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার এই হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৩জন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ আজ নতুন করে আরো পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালে ভর্তি ছাড়াও ডেঙ্গু সনাক্ত হওয়াদের মধ্যে কয়েকজন নিজ বাড়িতে, কেউ কেউ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। ডেঙ্গু সনাক্ত হওয়া রোগীরা বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার বসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জনবল সংকট থাকায় ডেঙ্গুসহ রোগীদের স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট ২৫০ বেড জেলা হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. অসিম কুমার সমাদ্দার। তবে জেলা হাসপাতাল ছাড়া উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গ রোগী সনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট ২৫০ বেড জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখাগেছে, আলাদা কোন ওয়ার্ড না থাকায় জ্বর ও সর্দিজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাথেই ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশী থাকায় অনেকেই ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফ্লোরে মশারির ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালে ভর্তি অন্যদের মধ্যে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশংকার কথা জানিয়েছেন রোগীদের স্বজনেরা দায়িত্বরত সেবিকারা জানিয়েছেন ফ্লোরে থাকা ডেঙ্গু রোগীদের মশারি টানানোর ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাগেরহাট ২৫০ বেড জেলা হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. অসিম কুমার সমাদ্দার জানান, কোরবানির ঈদের ছুটিতে নানাপ্রান্ত থেকে মানুষ বাগরহাটে ডেঙ্গু নিয়ে এসছে। হটাৎ করে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমন ধারনা করছি। সেকারনে এখন প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। রোগীর চাপ বেশী থাকায় বেড সংকটের কারনে অনেকেই ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জনবল সংকট থাকায় ডেঙ্গুসহ রোগীদের স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম হচ্ছে। তারপরও স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করাতে চেষ্টার কথা জানালেন এই কর্মকর্তা।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল ছাড়া অন্য উপজেলা গুলোতে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়নি। ডেঙ্গু যাতে জেলায় ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষে আমরা বিভিন্ন সভা সেমিনারে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিচ্ছি। বাড়িঘর, বাজার ও রাস্তাঘাট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।