বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করার মামলার প্রধান আসামী মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে জুয়েল(২৭) ও তার সহযোগী মোঃ রুবেল মোল্লা(২৮)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-৬ এর একটি দল। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৬ খুলনা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতার মোঃ মেহেদী হাসান @ জুয়েল(২৭) কচুয়া উপজেলার সম্মানকাঠি প্রামের মৃত ইতরুপ শেখের ছেলে। তার সহযোগী মোঃ রুবেল মোল্লা(২৮) একই উপজেলার চরসোনাকুড় গ্রামের মোঃ মহসিন মোল্লার ছেলে। মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে জুয়েল পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করার মামলার প্রধান আসামী। এছাড়া জুয়েলের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় হত্যা সহ একাধিক মামলা রয়েছে । গ্রেফতারকৃতদের কচুয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম এর উপর হামলাকারী মেহেদী হাসান ওরফে জুয়েল ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কচুয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, রবিবার (২০ মার্চ)রাতে কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম সম্মানকাঠি এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযান ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করতে যান। সন্দেহভাজন হিসেবে দেহ তল্লাশী করার সময় মেহেদী হাসান ওরফে জুয়েল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনসহ ধারালো অস্ত্র রামদা নিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে এসে কর্তব্যরত এসআই রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ২১ তারিখ জুয়েলকে প্রধান আসামী করে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
জুয়েলের হামলায় আহত এসআই রবিউল ইসলাম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম।