বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের অনেক বাড়ির আম গাছে ফলেছে ছফেদা ফল! আমের ভরা মৌসুম জৈষ্ঠ্য মাসে আমের গাছগুলোতে কাঁচা পাঁকা আম না ঝুলে থোকায় থোকায় ঝুলছে ছফেদা। যা দেখে মানুষের মনে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। এমন ঘটনা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম খাদা, ধানসাগর ইউনিয়নের সিংবাড়ি ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের বেশ কয়েটি বাড়ির আম গাছে।
ওইসমস্ত গাছে চোখ পড়তেই মনে হয় অসংখ্য ছফেদা ফল ঝুলে আছে। হঠাৎ সবুজ আমের গায়ে এমন ধূসর বর্ন দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না এটা আম নাকি ছফেদা। তাইতো আম গাছে ছফেদা দেখতে অনেকেই ভীড় করছেন ওইসব বাড়ি। ছফেদার মতো দেখতে এসব আম পোকায় ভরা বলে জনিয়েছেন ভূক্তভোগি আম বাগান মালিকরা ।
শরণখোলা উপজেলার খাদা গ্রামের শাহজাহান আকন (৭৫) বলেন, আমার বয়স ৭৫ বছর,এর মধ্যে কখনো দেখিনি আম গাছে ছফেদার মত ফল হইতে। উপজেলার সিংবাড়ি গ্রামের সুমন সরদার, রাজৈর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এবছর অনেক আম গাছে ছফেদা রঙের এমন আম হয়েছে। যা বিক্রি করাও যায়না। এসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে আমের চাষাবাদ না হলেও উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়িতে কম বেশি আম গাছের বাগান রয়েছে। এবছর সেইসব গাছে রেকর্ড পরিমান আম হয়েছে। তবে, কিছু গাছের আম ধূসর রঙের হওয়ায় তা খাওয়া নিয়ে আম খামারিসহ এলাকাবাসির মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছে। যে কারনে ছফেদা ফলের মতো দেখতে এসব আম খামারিরা বাজারে বিক্রিও করতে পারছেনা।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, আম গাছে কখনো ছফেদা হয়না। দেখতে অবিকল ছফেদা ফলের মতো হলেও আসলে এগুলো আম। এগুলো এক ধরনের রোগ, যা প্রথমে আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডার আম গছে দেখা দেয়। এটা এখন বাংলাদেশে কিছু অঞ্চলে আম গাছে দেখা যাচ্ছে। এই রোগাক্রান্ত আমের গায়ে ছত্রাকের আবরন পড়ে দেখতে ছফেদা ফলের মতো হয়েছে। এতে ভয়ের কিছু নাই। ছত্রাকের কারনে ফোকা হলেও যেকোনো সময় ওই আম খাওয়া যাবে। তাছাড়া যাদের গাছে এমন আম হচ্ছে তারা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কিটনাশক স্প্রে করলে আমের এই ছত্রাকজনিত সমস্যা সমাধান হবে।