সৌদি সরকারের অনুমতিক্রমে হিজরি ১৪৪৩ সালে বাংলাদেশের মুসল্লিদের ওমরাহ করতে যাওয়ার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত রোববার সৌদি আরব পরদিন মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) থেকে ওমরাহ আবেদন গ্রহণের কথা জানায়। সৌদি আরবের হজ এবং ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুলফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত জানান, বিদেশিদের ক্ষেত্রে ওমরাহ’র আবেদনের সঙ্গে পূর্ণ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তির সনদ যুক্ত করতে হবে। ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা জেঅ্যান্ডজে’র পূর্ণ ডোজ অথবা চীনের তৈরি টিকার পূর্ণ ডোজের সঙ্গে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা জেঅ্যান্ডজে’র বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকতে হবে।
তা ছাড়া যেসব দেশে থেকে সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে সেসব দেশের টিকাপ্রাপ্তদের বেলায় সৌদি আরবে পৌঁছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। আর ৯টি দেশ তথা ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও লেবানন থেকে আসা ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের অন্য কোনো দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করতে হবে।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয় জানায়, শুরুতে মাসে বিদেশ থেকে ৬০ হাজার করে ওমরাহ পালনকারীকে অনুমোদন দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা মাসে ২০ লাখে নিয়ে যাওয়া হবে।
১৮ বছরের বেশি বয়সীরা ওমরাহ’র জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি আরব সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া শর্তাবলীর কথা উল্লেখ করা হয়। সরকারি হজ পোর্টালে দেশের ওমরাহ এজেন্সিগুলোকে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে লাইসেন্স নবায়ণের কথা বলা হয়েছে।