
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। ৫০ বছরের বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেরিয়ে বিগত এক যুগের যে অর্জন তা বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য মর্যাদায়। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বহু অর্জন ও স্বীকৃতির মধ্যে বড় একটি অর্জন হলো ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করার স্বীকৃতি অর্জন। ২১ শে ফাব্রুয়ারি বাঙালির রক্তে অক্ষর কেনার দিন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দুতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এই সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি কয়েকবার প্রথম প্রহরে উদযাপন করার উদ্দ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের আমলে পরোপুরি বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশের প্রচলিত প্রথার সাথে সংগতিহীন এই প্রথা ভাঙ্গা হল এই ২১ শে ফাব্রুয়ারিতে এবং এর পিছনে রয়েছে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের একক সিদ্ধান্ত তিনি হলেন দুবাইতে নিযুক্ত ডেপুটি কনসাল জেনারেল জনাব মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম।
কমিউনিটির স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে রাত ১২ টা ১ মিনিটে অস্থায়ী শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। প্রথমেই মান্যবর কনসাল জেনারেল জনাব ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ। অতঃপর যথাক্রমে দুবাই ও শারজাহ জনতা ব্যাংক লি:, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই, বাংলাদেশ সমিতি দুবাই ও শারজাহ, ইউএই আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি দুবাই ও শারজাহ। বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন দুবাই, ইউএই যুবলীগ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, সামাজিক সংগঠন শেকড়ের খোঁজে, ইউয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরিচালনা করেন মান্যবর ডেপুটি কনসাল জনাব মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম। এই পুরো প্রক্রিয়াটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য কমিউনিটি ব্যাক্তিবর্গ ধ্যন্যবাদ জানান জনাব মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর পর এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির এক যুগের শাসনামলের পরও জাতীয় দিবস পালনে প্রথার এই বৈপরীত্য অবাক করেছে খোদ ডেপুটি কনসাল জেনারেল কেও। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন যে এই প্রথার বৈপরীত্য আর হবেনা এবং কমিউনিটি ব্যাক্তিবর্গ ভবিষ্যতে সচেতন থাকবেন এই ধারাবাহিকতা রক্ষায়
পরবর্তীতে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় যেখানে সকল বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।