প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি আরবের বড় ধরনের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে সৌদি আরবের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’
সফররত সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাত করতে এলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধামনমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের দেয়া বিদ্যমান বিভিন্ন সুবিধা কাজে লাগাবেন। তিনি বলেন, ‘বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য জমি বরাদ্দ করাসহ তাদের সহযোগিতা জোরদারে প্রস্তুত বাংলাদেশ।’ তিনি আরো বলেন, তাঁর সরকার দেশব্যাপী ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।
শেখ হাসিনা সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তেুাষ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের এ সব খাতের মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রতিরক্ষা।’
বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
তিনি আরো বলেন, বহু বাংলাদেশি কর্মী বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বের এবং বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে একটি ‘বন্ধুত্বের শক্ত বন্ধন’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে এই বন্ধন আরো জোরদার হবে।’
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন খাত খুঁজে বের করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো বাড়ানোকে তারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবে।
তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের সাথে একত্রে কাজ করারও আশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ের একটি বিশেষ স্থানে রয়েছে।
শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ও যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান আল সৌদকে তাঁর শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী মুসলিম উম্মাহ’র দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল্লাজিজ আল সৌদের অবদানের প্রশংসা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জাভেদ পাটোয়ারি, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসাফ ইসা আল দুলাইহান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।