দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল বিষয়ে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দুই দিনের বৈঠক শেষ হয়েছে বড় কোনো অগ্রগতি ছাড়াই।
আমিরাতের উড়োজাহাজ পরিবহন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ফ্লাইট বৃদ্ধির পাশাপাশি ‘ফিফথ ফ্রিডম’ অধিকার চেয়েছিল। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক।
বর্তমানে আমিরাতের উড়োজাহাজ পরিবহন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে আমিরাত হয়ে বিভিন্ন দেশে যাত্রী পরিবহন করে। এখন তারা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৃতীয় কোনো দেশে যাত্রী পরিবহনের সুযোগ চায়, যাকে এভিয়েশনের পরিভাষায় ‘ফিফথ ফ্রিডম’ অধিকার বলা হয়।
সোম ও মঙ্গলবার বেবিচক সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হয়।
বেবিচকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহেল কামরুজ্জামান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ আলোচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ও বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ২২ প্রতিনিধি অংশ নেন।
“আলোচনায় আমিরাতের উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলো বিভিন্ন রুটে ফিফথ ফ্রিডম অধিকার চায়। পাশাপাশি বাংলাদেশে ফ্লাইট বৃদ্ধির প্রস্তাবও আসে।”
কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণাধীন থাকায় ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমিরাতের প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
“আর ফিফথ ফ্রিডম অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে বেবিচকের তরফে বৈঠকে জানানো হয়েছে।”
বেবিচক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জামান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ রাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে সেখানে ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
বৈঠকে এমিরেটস, ফ্লাই দুবাই, ইতিহাদ ও এয়ার এরাবিয়ার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই চারটি এয়ারলাইন্সের নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত।
আলোচনায় তারা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি অন্য দেশে যাত্রীবাহী ও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ দেখায়। অর্থাৎ এতদিন তারা দুবাই বা শারজাহ হয়ে (ট্রানজিট) ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশ বা অন্য দেশে যাত্রী বহন করছে। এখন তারা সরাসরি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ, আমেরিকা বা অন্য কোনো দেশে যাত্রী ও মালামাল (কার্গো) বহন করতে আগ্রহী।
বেবিচকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। আর আমিরাতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালক সাইফ মোহম্মেদ আল সুওয়াইদি।
বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।