বাংলাদেশে আসতে ইচ্ছুক যাত্রীদের জন্য বিশেষ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাদের ৩০ মার্চের সার্কুলারটি বাতিল করে একটি নতুন নির্দেশ জারি করেছে।
নতুন জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়- আগামী ৩ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে। এবং একমাত্র যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্য সকল দেশ হতে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
এছাড়া তুরস্ক, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, পেরু ও চিলি হতে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, এ সার্কুলারের আওতায় যে যাত্রীরা বাংলাদেশে আসার সুযোগ পাচ্ছেন, তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া থাকুক বা না থাকুক, তাদেরকে আকাশযাত্রা শুরুর ৭২ ঘন্টা বা তার কম সময় বাকি থাকতে নমুনা দিয়ে পিসিআর টেস্ট করিয়ে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বোর্ডিং করতে হবে৷ বাংলাদেশে আসার পরেও সে সনদটি বিমানবন্দরে প্রদর্শন করতে হবে৷
বাংলাদেশে আসার পর কোন যাত্রীর মধ্যে কোভিডের লক্ষণ দেখা গেলে তাকে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ১৪ দিনের আইসোলেশনে প্রেরণ করা হবে। কোভিডের লক্ষণ না থাকলে যাত্রীদের কঠোরভাবে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে৷
যুক্তরাজ্য ব্যতীত ইউরোপের সকল দেশ এবং আলাদাভাবে ওপরে উল্লিখিত আরও ১২টি দেশের যাত্রীরা অন্য কোন দেশ ঘুরেও বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না৷
যেসব দেশের যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন তারা তাদের যাত্রাপথে কোন দেশে ট্রানজিট করলে এবং ট্রানজিট এরিয়া হতে একবার বের হলে আকাশযাত্রা শুরুর পুর্বে তাদের কৃত কোভিড টেস্টটি আর কার্যকর বলে বিবেচিত হবে না৷ সেক্ষেত্রে ঐ ট্রানজিট দেশ থেকে পুনরায় কোভিড টেস্ট করিয়ে ফ্লাইটে উঠতে হবে এবং বাংলাদেশে পৌঁছে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বা সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচায় চারদিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এরপর কোভিড টেস্ট করে নেগেটিভ হলে তারা ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে পারবেন। আবারও উল্লেখ্য যে, যেসব দেশের যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তারা এভাবে আসার সুযোগ পাবেন না৷