আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ এবং দেশটির জনগণই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে মনে করে প্রতিবেশী ভারত। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
ব্রিফিংয়ে কল্লোল নামে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘২৮ অক্টোবরের সমাবেশের পর বাংলাদেশে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন (দমন-পীড়ন) শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিবসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। বিরোধী দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য তার দিল্লি সফরকালে আমাদের এমনও বলেছেন, ভারত এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তা নিয়ে একটি বিবৃতিও দেয়নি। এতে তারা হতাশ। তাই আপনার কাছে জানতে চাই, বাংলাদেশে সরকারবিরোধী নেতাদের কারাগারে রাখার বিষয়ে ভারতের অবস্থান কী?’
জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘উত্তর দেওয়ার আগে আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই, পরিস্থিতি বর্ণনা করতে আপনি যে শব্দগুলো প্রয়োগ করেছেন, তার কোনোটাই আমার ভাষা নয়। যেমন ধরুন, ক্র্যাকডাউন বা বিরোধী নেতাদের জেলে দেওয়া ইত্যাদি। এগুলো আপনার ব্যাখ্যা ও শব্দচয়ন, দয়া করে আমার মুখে এগুলো বসাবেন না।’
অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, ‘আমরা তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশের নির্বাচন, যা আমি আগেও বলেছি, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। খুব ভালো বন্ধু ও অংশীদার হওয়ায় আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি। আমরা বাংলাদেশের একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জাতির স্বপ্নকে সমর্থন করে যাব। আপনি যা যা বলেছেন, তার উত্তরে এটিই আমার জবাব।’