মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দেশটির পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদের ভাই এবং দেশটির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল নাশিদকে সমকামিতায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মালদ্বীপের ইংরেজি পত্রিকা ‘সান’ নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ফাঁস হওয়া এক ভিডিওতে কর্নেল নাশিদ রাজধানী মালেতে বসবাসরত তরুণ বাংলাদেশি নাগরিক মোঃ আলমগীরের সাথে যৌন ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকাবস্থায় ধরা পড়েছিলেন। আলমগীর সেখানে পতিতা হিসেবে কাজ করে থাকেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে মালদ্বীপে বেশ কয়েকটি ভিডিও ফাঁস হয়েছিল, যেগুলোতে আলমগীরকে মালদ্বীপের বেশ কয়েকজন হাই-প্রোফাইল পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখা গিয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে। ওইসব পুরুষদের মধ্যে দেশটির বিশিষ্ট আইনজীবী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের ছোট ভাই আহমেদ নাজিম আবদুল সাত্তার এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল রহমান রাফিউ রয়েছেন।
ফৌজদারি আদালত নাজিম এবং রাফিউর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এদিকে, ভাইকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রেসিডেন্টকে দায়ী করে ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেছেনঃ
“প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহের প্রশাসন আমার ভাইকে বাছাই করে সমকামিতার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করেছে। এই গ্রেপ্তার ফৌজদারি নিয়ম মেনে করা হয় নি। জোটের কট্টরপন্থী উগ্রপন্থীদের সন্তুষ্ট করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
ওদিকে, মালদ্বীপের গণমাধ্যম ‘আভাস’ গত ১২ জুলাই জানিয়েছিল যে, জনৈক বাংলাদেশি নাগরিক মোঃ আলমগীরকে মালদ্বীপের বেশ কয়েকজন পুরুষের সাথে সমকামী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার ভিডিও ফাঁস হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং এবং পুরুষদের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্কের অভিযোগ ছিল। ভিডিওগুলো আলমগীর-ই রেকর্ড করেছিল। ভিডিও ফাঁসের পর তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।