করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)। গতকাল বুধবার (১৪ জুন) বাংলাদেশ সরকার ও এআইআইবির মধ্যে একটি বাজেট সাপোর্ট ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক (ইআরডি) বিভাগের সচিব শরীফা খান ও এআইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (বিনিয়োগ পরিচালনা) অরজিৎ আর প্যাটেল চুক্তিতে সই করেন। ঋণের অর্থ ‘সাসটেইনএবল ইকোনমিক রিকোভারি প্রোগ্রাম (সাবপ্রোগ্রাম)’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।
ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোভিড অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানাবিধ বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন। এরমধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বাণিজ্য ঘাটতি, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এরূপ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এআইআইবিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বাজেট সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এ অর্থ কোভিড অতিমারি ও বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিতিশীলতার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ব্যবহার হবে।’
এআইআইবি থেকে নেওয়া এ ঋণের সমুদয় অর্থ একবারে ছাড় হবে। এ ঋণ তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৬ বছরে পরিশোধযোগ্য। ঋণের সুদের হার হবে মোট এক দশমিক ১৪ শতাংশ। এছাড়া এ ঋণের ফ্রন্ট অ্যান্ড ফি হিসেবে এককালীন শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং অব্যয়িত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশে ২০১৬ সাল থেকে এআইআইবি কার্যক্রম শুরু করে। এ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রকল্পে তিন হাজার ৩৭ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে। এছাড়া কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা, সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচি ও কোভিড পরবর্তী অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে গত তিন বছরে এআইআইবি এক হাজার ৫০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা ঋণ প্রদান করেছে।