ব্যাটিংয়ের সাথে ডেথ ওভারে বোলিংয়ের দুর্বলতার সাথে পাওয়ার হিটিংয়ের অক্ষমতা বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচই হারিয়েছে। তার পুনরাবৃত্তি করে ৭ উইকেটে আফগানিস্তানের কাছে হেরে এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু করলো সাকিব আল হাসানের দল। ইবরাহিম জাদরানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সাথে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশের দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্য ১৮.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় আফগানিস্তান। আর এর মাধ্যমে দুটি ম্যাচই জিতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো মোহাম্মদ নবীর দল।
ম্যাচের ১৬ তম ওভার পর্যন্তও লড়াইয়ে টিকে ছিল বাংলাদেশ। শেষ ৪ ওভারে ৪৩ রান প্রয়োজন ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু হাতে উইকেট রাখার গুরুত্ব আবারও দেখালেন দুই জাদরান। মোস্তাফিজের করে ১৭তম ওভারে ১৭ এবং সাইফুদ্দিনের করা ১৮তম ওভারে ২২ রান তুলে ম্যাচকে একরকম শেষই করে ফেলেন এই দুই আফগান ব্যাটার। এই দুই ওভারে আসে দুটি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি। ২ ওভারে ৩৯ রান তুলে ম্যাচের সকল উত্তেজনায় পানি ঢালেন এই দুই ব্যাটার। স্লগ ওভারে দ্রুত রান তোলার সামর্থ্যের ঘাটতির সাথে ডেথ ওভারে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ঝড় সামলানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের বোলারদের দক্ষতার কমতিই যেন আরও একবার উন্মোচিত হলো আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচে।
এর আগে, সাকিব, মেহেদী, মোসাদ্দেকদের মিতব্যয়ী বোলিংয়ে ১২৭ রানকেও চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের সামনে। সাকিবের হাত ধর প্রথম সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। ১২৭ রানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যেমন সূচনা দরকার ছিল সেটিই এনে দেন সাকিব। ডান্সিং ডাউন দ্য উইকেটে এসে গুরবাজকেও পরাস্ত করে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ১৮ বলে ১১ রান করে আউট হন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। এরপর খোলস ছেড়ে বের হওয়ার ইঙ্গিত যখন দিচ্ছেন হযরতুল্লাহ যাযাই, তখনই তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং হিরো মোসাদ্দেক হোসেন। ২৬ বলে ২৩ রান করেন যাযাই।
এরপর প্রথম ওভারে বল করতে এসেই আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে এলবিডব্লিউ করেন অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন। এরপর ইবরাহিম জাদরান ও নযিবুল্লাহ জাদরানের ৩৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৯ রানের জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় আফগানিস্তান। অ্যাঙ্কর রোলে ব্যাট করা ইবরাহিম ৪১ বলে ৪২ এবং ক্যামিও ইনিংস খেলা নাযিবুল্লাহ জাদরান ১৭ বলে ৪৩ রান করে ছিলেন অপরাজিত। নাযিবুল্লাহর ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৬টি ছয়ের মার। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ১টি উইকেট। এছাড়া মোসাদ্দেক ও সাইফুদ্দিনও ১টি করে উইকেট দখল করেন।
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মুজিব উর রেহমান ও রশিদ খানের স্পিন ঘূর্ণির সামনে অনেকটাই যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করে টাইগার টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ৩১ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে সাকিব বাহিনী।