আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের আক্ষেপ দূর হয়েছে। লিওনেল মেসিরা জিতেছে কোপা আমেরিকার শিরোপা। এই জয়ের আনন্দ ভীষণভাবে ছুঁয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে জেতায় বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা-ভক্তরা বেশি উচ্ছ্বসিত। সেই উন্মাদনার খবর পৌঁছে গেছে আর্জেন্টিনায়! আলবিসেলেস্তদের সাবেক অধিনায়ক হুয়ান পাবলো সরিন বাংলাদেশের ফুটবলভক্তদের আর্জেন্টিনার জন্য মিছিলে নামার ভিডিও দিয়ে আবেগী পোস্ট দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
২৮ বছরের আক্ষেপ ঘোচার পর ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশি সমর্থকদের কিছু ভিডিও পোস্ট করেছেন সাবেক এই ডিফেন্ডার। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৭৫ ম্যাচ খেলা সরিন ২০০৬ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লাতিন আমেরিকার দেশটিকে। কখনও দেশের হয়ে কোনও ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার। এবার মেসির হাত ধরে শিরোপা আসার পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি। আর এই উল্লাসের মাঝে বাংলাদেশি ফুটবল ভক্তদের উন্মাদনা তাকে ভীষণভাবে ছুঁয়ে গেছে।
কোপা আমেরিকা জয়ের পর বাংলাদেশে যে উল্লাস হয়েছে, সেই দৃশ্য ১৯৯৫ সালের একদিনে ফিরিয়ে নিয়েছিল সরিনকে। যেদিন ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাজিলকে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। আর ওই ম্যাচে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সমর্থন পেয়ে নিজেদের চাঙা করেছিল আর্জেন্টিনা।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সরিন লিখেছেন, “আজ মনে পড়ছে ২৬ বছর আগের এক রাতের কথা। ১৯৯৫ সালে ব্রাজিলের সঙ্গে ম্যাচ খেলছিলাম কাতারে। সে আমলে এখনকার মতো চাইলেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেত না। ব্রাজিলের সঙ্গে ম্যাচের সময় গ্যালারিতে আর্জেন্টিনার পতাকার ছড়াছড়ি। রুপালি রঙা পতাকায় দূর থেকে খেয়াল করেছিলাম একটায় লেখা- ‘বাংলাদেশ’। একস্বরে লাফিয়ে, নেচে আমাদের সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছিল ওরা।”
এরপর লিখেছেন, ‘দম আটকে আসা মুহূর্তে ওই দৃশ্য আমাদের দিয়েছিল বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ। আজ আমি তাদের স্মরণ করতে চাই, আর এই মুহূর্তটা উৎসর্গ করতে চাই।’
এরপর সাবেক তারকা যোগ করেছেন, “পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে বাংলাদেশ, সেখানকার সমর্থকেরা কোপা আমেরিকা জয়ের পর রাস্তায় নেমে এসেছে, আনন্দ উল্লাসে মেতেছে। ধন্যবাদ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে, ধন্যবাদ লিও মেসিসহ বাকিদের, যারা আমাদের ’৭৮ ও ’৮৬তে শিরোপা জিততে সাহায্য করেছেন। আমাদের দেশের সমর্থকেরা ছড়িয়ে আছেন বিশ্বজুড়ে। ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনা তাদের প্রাপ্যটা বুঝে পেলো, চ্যাম্পিয়ন হলো। শনিবার (কোপা আমেরিকা ফাইনালের দিন) যেমন নীল-সাদায় ছেয়ে গেলো, কাতারের সেই দিনটাতে ওদের সঙ্গে আমরা একইভাবে উদযাপন করেছিলাম।”