এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটে দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে সাধারন নাগরিকদের দৈনন্দিন জিবন। যানজট নিয়ে বিড়ম্বনা এখন নিত্য নৈমিত্যিক ব্যাপার। যানজটের অন্যতম কারন উপজেলার প্রধান সড়কের উপর শাকসব্জী মাছ মাংসের বাজার। যে যার ইচ্ছামত সকাল সন্ধ্যা সড়কের উপর বাজার বসে, দেখার যেন কেউ ছিলনা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দির্ঘদিন থেকে জোর সমালোচনা চলছিল। উপজেলার প্রধান সড়কের নাপোড়া, চাম্বল, শিল্কুপ টাইম বাজার, বৈলছড়ি, গুনাগরীতে এসব কাঁচাবাজার বসে প্রতিনিয়ত দির্ঘসময় ধরে যানজট সৃষ্টি করে কর্মজীবি মানুষের মুল্যবান সময় নষ্টসহ ব্যস্ততম মানুষের জিবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। অথচ এসব বাজারগুলোর প্রায় সব বাজারই সরকারি ইজারাকৃত বাজার।
৩১ জানুয়ারী’২২ ইং সোমবার সকাল ১১ টার সময় বাঁশখালী উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুনাগরী চৌমুহনী চৌ-রাস্তার মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে সড়কের উপর থেকে মাছ বাজার সরিয়ে বাজারের ভিতরে পুর্বের মাছ বাজারে স্থাপন করেন। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে আরো ছিলেন, সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাঃ ওমর ফারুখ, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাঃ কামাল উদ্দিন, এসময় বাঁশখালী থানা পুলিশ এবং স্থানীয় গ্রাম পুলিশরা অভিযানে সহযোগিতা করেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যগণ, গুনাগরী চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরহাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক ছৈয়দুল আলম সহ সাংবাদিক ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশার লোকজন।
উপজেলার প্রধান সড়কের গুনাগরি চৌমুহনী পয়েন্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি পয়েন্ট। এখান থেকে চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার এবং বাঁশখালী টু সাতকানিয়া একমাত্র যোগাযোগ পথ। এই এলাকায় রাস্তার ওপর মাছ বাজার বসায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যন্ত প্রায় আড়াই’শ মিটার অংশ প্রায় বন্ধই থাকে বলা চলে। ফলে বাঁশখালীসহ পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার ও সাতকানিয়া উপজেলার মানুষ রাস্তাটি ব্যবহারে প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়ে মারাত্বক ভোগান্তির শিকার হতে হয়, শুধু তা-ই নয়, বাজারের বিভিন্ন দোকানের বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে সেখানে নাকে রুমাল টিস্যু চেপে চলা-ফেরা করতে হয়।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যানজট নিরসনের লক্ষ্যে জনস্বার্থে নিয়মিত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে, কেউ যদি সড়কে বাজার বসায় তার বিরোদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সড়কের যানজট সৃষ্টি করে গাড়ী দাড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা করলে তাদের বিরোদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযানে প্রধান সড়কের জনচলাচলে স্বস্থি ফিরে আসায় সাধারন জনগন অভিনন্দন জানিয়েছেন, প্রধান সড়ককে বাজারমুক্ত রাখতে উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযান নিয়মিত অব্যাহত রাখারও অনুরোধ জানান সুশীল ও পেশাজীবি সমাজ।