এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জায়গা-জমি ও সীমানা বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীতে প্রবাসী এক যুবক নির্মমভাবে খুন হয়েছে। খুন হওয়া যুবকের নাম নুরুল ইসলাম, পিতা- মোহাম্মদ ফেরদৌস। উপজেলার ৯ নং গন্ডামারা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে এ খুনের ঘটনা ঘঠেছে।
০১ ফেব্রুয়ারী’২২ ইং মঙ্গলবার ঘটনার বিবরনে জানা যায়, পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের নিছার বাপের বাড়ির জনৈক ফেরদৌসের পরিবারের সাথে তার আপন ভাই ইদ্রিসের পরিবারের সাথে দির্ঘদিন ধরে জায়গা জমি ও বাড়ি ভিটার সীমানা বিরোধ নিয়ে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল, এবং এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠকেরও আয়োজন হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন ফায়সালায় চুড়ান্ত সমাধান না হওয়ায় অবশেষে নির্মমভাবে খুনের ঘটনার মাধ্যমে পারিবারিক এ বিরোধ স্থায়ী বিরোধে রুপ নিল।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, দির্ঘদিনের বিরোধের সূত্র ধরে গত ২৮ জানুয়ারী’২২ ইং শুক্রবার বাদে জুমা পুকুরে একটি ঘাট দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, ঝগড়া-ঝাটি, হাতাহাতি এবং তা পরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে ফেরদৌসের পরিবার পুকুরে একটি ঘাট স্থাপন করতে গেলে প্রতিপক্ষ সহোদর ভাই ইদ্রিসের পরিবারের লোকজন স্থানীয় সালিশী সিদ্ধান্তে পুকুরের ঐ অংশ তাদের জানিয়ে ঘাট স্থাপনে বাধা দিলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। ফেরদৌস পরিবারের লোকজন প্রতিপক্ষের বাধা না মেনে ঘাট স্থাপন করতে চাইলে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে লাটি সোটা, দা-খন্তা নিয়ে সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ফেরদৌসের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী নুরুল ইসলাম(২৫) এর মাথায় ইদ্রিস পরিবারের লোকজন খন্দা দিয়ে আঘাত করলে গুরুতরভাবে জখম হয়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আরো ৪/৫ জন আহত হয়। মাথায় গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত নুরুল ইসলামকে তাৎক্ষনিক ভাবে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে ৩ দিন পর্যন্ত আইসিইউ’তে থাকার পর অবশেষে ১ ফেব্রুয়ারী তাকে মৃত ঘোষনা করে। নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অাজ ১ ফেব্রুয়ারী লাশ বাড়িতে আনার পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত কোন মামলা করা হয়নি বলে জানা গেছে। তবে নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।