
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় আগুনের লেলিহান শিখায় আবারো পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে গেল ৩৪ বসত ঘর। উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নে সংঘটিত ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।
২৮ ফেব্রুয়ারী’২২ ইং সোমবার সকাল ১১টায় পুঁইছড়ি ইউনিয়নের আশরাফ আলী সিকদার পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ মাস্টার গিয়াস উদ্দিন জানালেন, “আমি বিয়ে করেছি মাত্র সপ্তাহ পার হলো। বাড়ীতে থাকা প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার নতুন ফার্নিচার আসবাবপত্র সহ নগদ ৩০ হাজার নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মুহুর্তেই আগুণ লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় কিছুই রক্ষা করতে পারিনি।”
আগুনের লেলিহান শিখা দেখার পর স্ট্রোক করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল কাশেম। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনে তাঁর ব্যক্তিগত বন্দুকের লাইসেন্সটিও পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। আগুনে নগদ টাকা, আসবাবপত্রসহ কোটি টাকার ওপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী ও বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৪ পরিবারকে তাৎক্ষনিকভাবে নগদ আড়াই হাজার টাকা করে ৮৫ হাজার টাকা এবং খাদ্যসামগ্রী ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, একটি বাড়ির বৈদ্যুতিক হোল্ডারে মোবাইল চার্জ দিলে ওই সময় বিদ্যুৎ ছিল না। হঠাৎ বিদ্যুৎ আসলে স্পার্ক করে হোল্ডারের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে। আগুন মুহূর্তের মধ্যে ৩৪ পরিবারে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের দল আসার আগেই প্রত্যেকের পরিবারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ইউএনও মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী আরো বলেন, আপাতত সরকারিভাবে সাহায্য করা হয়েছে। পরে আরও সাহায্য করার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আগুনের তান্ডবে সর্বস্ব হারানো পরিবারে চলছে শোকের মাতম। স্থানীয় অধিবাসিরা জানিয়েছেন, দিনে আগ্নিকান্ড সংঘঠিত হওয়ায় আরো বড় ধরনের হতাহতের হাত থেকে রক্ষা হয়েছে, রাতে হলে জানমালের ক্ষয় ক্ষতির পরিমান আরো অনেক বেশি হত।