বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান: পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধি, গবেষণা,সম্প্রসারণ ও বাজারজাত সহজ করার লক্ষ্যে বান্দরবানে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ( ০৬ মে) বান্দরবান পাহাড়ী তুলা গবেষণা কেন্দ্র ও তুলা উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের আয়োজনে অরুণ সারকী টাউন হলে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড.মো:ফখরে আলম ইবনে তাবিব এর সভাপতিত্বে এসময় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
এসময় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক অরবিন্দ রায়,তুলা উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের উপ পরিচালক নাছির উদ্দীন আহমদ,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এম.এম শাহ্ নেয়াজ,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং খুমী, তুলা উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন মৃধা, পাহাড়ী তুলা গবেষণা কেন্দ্র এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মংসানু মারমাসহ তিন পার্বত্য জেলার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং তুলা চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন,পার্বত্য এলাকার মাটি তুলা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় দিন দিন জেলায় তুলা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে আর বান্দরবান,রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় উৎপাদিত তুলা দেশের চাহিদা মেটাতে কিছুটা সক্ষম হচ্ছে। এসময় বক্তারা আরো বলেন,পাহাড়ী জমিতে তুলার পাশাপাশি চাষীরা এখন ধান,আদা,ভুট্টা,গম,মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফল ফলাদি চাষ করছে আর তা বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার চাষীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারী বিভিন্ন সহায়তা ও প্রশিক্ষণ পেয়ে আগের চেয়ে বর্তমানে চাষীরা আরো বেশি ফলন ফলাতে উৎসাহ পাচ্ছে এবং লাভবান হচ্ছে। এসময় তিনি আরো বলেন, বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় এখন তুলার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে আর চাষীদের এই তুলা বাজারজাত করণের জন্য আমরা সহযোগিতা করছি। এসময় প্রধান অতিথি চাষীদের ঘরের আশেপাশে এবং পতিত জমিতে আরো অধিক তুলা আবাদের আহবান জানান এবং জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে বান্দরবান,রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অর্ধশতাধিক তুলা চাষী অংশ নেয় এবং চাষীদের তুলা চাষের আধুনিক বিভিন্ন কৌশল ও পরামর্শ প্রদান করে বিশেষজ্ঞরা ।