বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে হাতপাখা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদরাসা অডিটোরিয়ামে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা দেন।
নাম ঘোষণার পর বরিশাল নগরবাসীর উদ্দেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, আমি মেয়র হতে চাই না, বরিশালবাসীর খাদেম হতে চাই।
তিনি বলেন, আমি বরিশালবাসীর জন্য কি করবো জানি না, কিন্তু তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করব। বরিশাল সিটি করপোরেশনে কি উপহার দেব তা জানি না, কিন্তু মানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠার অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আমার জান ও মাল কোরবান করার চেষ্টা করব। আমি চেষ্টা করব সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব কোনো মানুষ যেন আমার দ্বারা অপমানিত না হয়, প্রতিটি মানুষ যেন সুখী হতে পারে, সম্মানিত হয়। তাদের সুখে-দুঃখে যেন পাশে থাকতে পারি।
এ সময় সব শ্রেণির ভোটারদের কাছে ভোট প্রত্যাশা করে ফয়জুল করীম আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য বরিশাল সিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ভোট গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
পাশাপাশি ভোট জালিয়াতির চেষ্টা হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবি তোলেন।
প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর দলের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম নগরবাসীকে বলেন, বরিশাল সিটি আমাদের জন্মস্থান। স্বাধীনতার ৫২ বছর চলছে, কিন্তু এই সিটিতে যারাই দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মাধ্যমে আপনারা কি পেয়েছেন? আপনাদের হৃদয়ের যে চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষা কতটুকু তাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছে, তা আপনাদের কাছেই পরিষ্কার। এটা নতুন করে উত্থাপন করার কিছু নেই। বিগত সিটি নির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি কীভাবে হয়েছেন তা আমাদের সবার জানা। নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি কীভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিংবা তার আগে-পরে কীভাবে কে কেমন দায়িত্ব পালন করেছেন, তাও আমাদের সবার জানা আছে।
তিনি বলেন, আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের হাত পাখা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের নাম ঘোষণা করা হলো। কোন প্রার্থী মেয়র হলে মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার, সম্মান, স্বাধীনতা পাবে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে এই চিন্তার প্রেক্ষিতেই আমরা তাকে মনোনীত করেছি।
এদিকে মেয়র পদে প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।