
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর স্বামীর মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান আসামি জাহিদ হোসেন জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ খোরশেদ আলম।
বুধবার (১২ ই জানুয়ারি) রাত ৮ টায় তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মাদারীপুর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে তার বিরুদ্ধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করে ওই ছাত্রীর স্বামী সোহাগ হাসান।
অভিযুক্ত জাহিদ হোসেন জয় দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়া এর আগে তার বিরুদ্ধে একাধিক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে ঝামেলা হয়েছে বলে জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রধান অভিযুক্ত জাহিদ হোসেন জয়কে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে পুলিশের একাধিক টিম। তবে বারবার অবস্থান পরিবর্তনের ফলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেও ধরা সম্ভব হচ্ছিলো না। অবশেষে তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড মো. খোরশেদ আলম বলেন, প্রক্টর হিসেবে আমি দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই ছিলো আমার জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ। আমি বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেছি। এমনকি রাতে আমি ঘুমতেও পারিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের এক ছাত্রী তার স্বামী সোহাগ হাসানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘুরতে যান।
দু’জন কথা বলার কিছু সময় পর স্থানীয় চর আইচা গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে জাহিদ হাসান জয় তার আধিপত্য দেখিয়ে ওই ছাত্রীর কাছে ওখানে যাওয়ার কারণ জানতে চান। কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে ওই যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে চড় মারেন এবং যার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন ও তার সহযোগীরা।
ঘটনা টের পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পিছু হাটতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ঘটনা জানাজানি হলে রাত সাড়ে ৭টায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িতে ইট পাটকেল ছুড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।